বর্তমান ২০২৩ সালে পৃথিবীর ধনী দেশের কথা উঠলে সবার মনে জেগে ওঠে আমেরিকা দেশের কথা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ কাতার। বর্তমান সময়ে দেশটির মাথা পিছু আয় পৃথিবীর সব দেশের থেকে বেশি। এছাড়াও কয়েক দশক পূর্বেও কাতার দেশটি এতটা ধনী দেশ হিসেবে ছিল না।
বাংলাদেশ বিশ্বের কততম ধনী দেশ Update
২০২২ সালের সেরা বাংলাদেশী ধনী ব্যক্তি
- এই দেশের মানুষের মাছ ধরাই ছিল প্রধান পেশা। কিন্তু হঠাৎ করে তেল ও গ্যাসের খনি আবিস্কার তাদের ভাগ্য অনেক পরিবর্তন এনে দেয়। কাতার দেশে রয়েছে তেল ও গ্যাসের বিশাল মজুদ। সেটি সঠিকভাবে ব্যবহার করে দেশের চেহারাই পরিবর্তন করেছে কাতার। এছাড়াও কাতার দেশ সম্পর্কে নানা জানা অজানা সকল তথ্য নিম্নে থাকা এই পোষ্টে জেনে নিতে পারেন।
মুসলিম প্রধান দেশ
- কাতার একটি মুসলিম প্রধান দেশ, মুসলিম দেশ হিসেবে কাতারের আইন কানুন অনেক কঠিন। এছাড়াও কিছু বিচিত্র ব্যাপারও প্রচলিত রয়েছে যেমন, মুসলিম দেশ হিসেবে কাতারে মদ পান করা নিষিদ্ধ। অ্যালকোহল কিনতে হলে বিশেষ ছাড়পত্র ও পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। তবে এদেশে মদ নিষিদ্ধ থাকলেও শুকুরের মাংস কাতারে নিষিদ্ধ নয়। বরং শুকুরের মাংসের তৈরি খাবার অনেক সহজ ও লাভজনক।
- আরো একটি ব্যাপার হচ্ছে এদেশে মদ নিষিদ্ধ হলেও কাতার এয়ারওয়াইসে নিজের ইচ্ছেমত মদ ক্রয় করা যায়। এমনকি বিমানেও নিজের ইচ্ছেমত মদ পান করা যায়। কিন্তু মদের বোতল বা মদ পানের পর খালি বোতল নিয়েও এদেশে প্রবেশ করা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
- নানা করনেই অনেক পরিবর্তন কাতার দেশটি। পারস্য উপসাগরে অবস্থিত একটি দেশ কাতার। দেশটির দক্ষিণে রয়েছে সৌদিআরব এবং পশ্চিমে অবস্থিত বাহারাইন। আরবের অন্যান্য উপদীপের মত কাতারও একটি উত্তপ্ত শুস্ক ও মরুভূমি এলাকা। এদেশের ভূপৃষ্ঠে কোন প্রকার জলাশয় নেই, প্রাণী এবং উদ্ভিদের জন্যসংখ্যাও অনেক কম।
দোহা শহর
- কাতারের বেশিরভাগ মানুষ রাজধানী দোহা শহরে বসবাস করে থাকেন। সানমেরিডো, গ্রীণল্যান্ড, ওমান এবং কাতার পুরো পৃথিবীর এই ৪টি দেশে কোন প্রকার বন জঙ্গল নেই। কাতার শহর জুড়ে কোন ধরণের গাছপালা খুজে পাওয়া যায় না বলেই চলে। কারণ অনেক বড় বড় বিল্ডিং আর মরুভূমি কাতারের মূল বৈশিষ্ট্য। কাতার পুরোপুরী একটি মরুভূমি দেশ হওয়ায় সেজন্য ৯৯ শতাংশ মানুষই বিভিন্ন শহরেই বেশির ভাগেই বসবাস করে।
দরিদ্র দেশের তালিকা
- কাতারও বিভিন্ন দেশের মত পূর্বে অনেক দরিদ্র দেশের তালিকা হিসেবে ছিল। কাতারের মানুষ আগে সমূদ্রে যেত মাছ ধরতে। ১৯৩৯ সালে কাতারের দোকান শহরে প্রথমে তেলের সন্ধান পাওয়া যায়। ঠিক সেই সময়ে চলছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ। যার কারণে সেই সময় তেল উত্তলন করা কোনভাবেই সম্ভব ছিল না।
- ১৯৫০ সালের কাতার দ্রুতভাবেই তেল উত্তলনের কাজ শুরু করে দেয়। যার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাতারের অর্থনীতির পরিবর্তন আসে। তবে সেটি খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সেই সময় কাতার দেশটি ছিল ব্রিটিশদের অধিনে। পূর্বে কাতার তুরস্কের অটনাম সাম্রাজের শাসনাধীনে ছিল। এরপর ১৮৬৮ সালে মোহাম্মদবীন থানী বৃটিশদের সাথে ১টি চুক্তি বদ্ধ করেন। যার ফলে বৃটিশদের অধিনে কাতার শাসিত ছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে ৩ সেপ্টেম্বর বৃটিদের থেকে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীনতা লাভ করে কাতার দেশটি। সেই সময়ের মধ্যেও কাতার খুব একটা উন্নত ছিল না।
- ১৯৮০ সালের দিকে তেলের বাজার অনেকটা অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। সেটি কাতার দেশের জন্য খুব একটা সুবিধা জনক ছিলনা। ৮০ দশকে মরুভূমির নীচে কাতার তৈরি করে অনেক বড় গ্যাসের মজুদ।কিন্তু সেই সময় গ্যাসের দাম খুব বেশি ছিল না। ফলে কাতার দেশের এই বিশাল সম্পদ খুব ভালোকাজে আসছিলো না। এক রক্তক্ষয়ী অভূথানের পর হামাদ বিন খলিফা ক্ষমতায় আসেন। হামাদ বিন খলিফা ছিলে অত্যন্ত বিচক্ষণ শাসক। ক্ষমতায় পাওয়ার পরেই হামাদ কাতারে ইউএস রিজিওনাল মিলিটারী হেড কোয়াটার স্থাপনের অনুমোদন দেন। কিন্তু এটা ছিল দোহা শহরের বাহিরে। যার ফলে কাতার অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে অভ্যন্তরিন নিরাপত্তার ব্যবস্থা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে