দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প (পর্যায়-২) প্রকল্প এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ণ ও ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক মোঃ ওবায়দুল ইসলাম গত ১৫ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেছেন। বিষয়টি এতদিন গোপনীয় থাকলেও সম্প্রতি সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এর সত্যতা মিলেছে। পদত্যাগপত্রটি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দিয়েছেন। যার ডকেট নম্বর-১০৬৯৭। পদত্যাগপত্রে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারনের কথা উল্লেখ করলেও অনুসন্ধানে জানা গেছে এর কারণ ভিন্ন। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওবায়দুল ইসলাম এর নিয়োগের পর থেকেই তিনি স্বেচ্ছাচারিতা, সীমাহীন দুর্নীতি ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রকল্পটিকে দুরবল করে ফেলেছেন। প্রকল্পটি তিন বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কেবলমাত্র একটি ভূমি উন্নয়ন টেন্ডার ছাড়া দৃশ্যমান আর কোন অগ্রগতি দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়াও প্রতিবার টেন্ডার ডেকে উনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাকে পুনরায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন, এই সুযোগে তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পুনরায় অফিসে যোগদান করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও পরামর্শক কো¤পানি নিয়োগের নানা অসঙ্গতি নিয়ে এর আগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় ওবায়দুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ইতিপূরবে তিনি আরো দুইবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। সর্বশেষ তার পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ না করে তাকে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির পুত্র জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তার মাধ্যমেই অবৈধ লেনদেনের দ্বারা ওবায়দুল ইসলামের ইতোপূরবে নিয়োগ হয়। সদ্য পদত্যাগী প্রকল্প পরিচালক মোঃ ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারনেই আমি পদত্যাগ করেছি। কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র না দেয়ায় তাকে বারবার থেকে যেতে হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। স্বেচ্ছাচারিতা, সীমাহীন দুর্নীতি ও অদক্ষতার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনা আর্থিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বানোয়াট বলে দাবি করেন।