গত ১০ মার্চ সোমবার জাতীয় দৈনিক জনবাণী ও জামালপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন পত্রিকায় “জামালপুরে ১১ কোটি টাকা কাজের পার্টনার সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল” এবং গত ১৩ মার্চ দৈনিক সত্যের সন্ধ্যানে প্রতিদিন পত্রিকায় ” দুর্নীতিবাজ সেই মাজেদুল সাড়ে দশ কোটি টাকা কাজের পার্টনার ” শিরোনামে বিভিন্ন স্থানীয় / জাতীয় / অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম। এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেছেন, আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২.১০ কিলোমিটার আরসিসি সারফেস ড্রেন নির্মাণ এবং ৪.৮ কিলোমিটার সারফেস ড্রেনের কাজে ১০০৪০০১৫০ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। সেই কাজটি গোপালগঞ্জের মিনারাপাড়া কবরস্থান রোড এলাকার মনির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্ট্রাকশন লিমিটেড এর লাইসেন্স কাজ পেলেও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম ও শহরের কয়েকজন ঠিকাদারের সাথে পার্ট হয়ে কাজটি তারা নিয়ে নেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এম্পি মির্জা আজমের আত্মীয় পরিচয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার সরকারী কাজ গুলো বিভিন্ন লাইসেন্সের নামে বেনামে নিয়ে তিনি নিজেই কাজ করেন। সংবাদে আমার বিরুদ্ধে আনা সম্পুর্ন তথ্য মিথ্যা। কিছু অসাধু ব্যক্তির স্বার্থে আঘাত লাগার কারণে তারা ষড়যন্ত্র করে আসছে । মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করব। একটি কু চক্রি মহল সমাজে আমাদের হেয় পতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ।
অন্যদিকে মির্জা আজম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় তিনি ২০১৬ সালে জোর তদবীর করে জামালপুর বদলী নিয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তিনি শুরু করে ক্ষমতার দাপট। ভুয়া বিল বাউচার, নানারকম দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমানের কাজের মধ্যদিয়ে প্রকল্পের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সমালোচিত হলে তড়ি ঘড়ি করে আবারো জোর তদবীর করিয়ে ২০১৮ সালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন মাজেদুল ইসলাম। তিনি তার নিজ এলাকা মাদারগঞ্জ এবং জামালপুর শহরে শুশুড় বাড়ী চন্দ্রা এলাকায় দীর্ঘ সাড়ে আট বছরে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকার সম্পদ ও কোটি কোটি নগদ অর্থ গড়ে তুলেন। সংবাদে যে অভিযোগ গুলো আনা হয়েছে এগুলা সম্পুর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। এই সংবাদ গুলোর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই মানষিক ও দাফতরিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় এ মিথ্যা সংবাদের অবতারণা করা হয়েছে শুধু আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি আমার ক্ষতি করার জন্য। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সংবাদে আরো বলা হয়েছে, এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের ভাগনী জামাই পরিচয় দিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় জনস্বাস্থ্যের কাজ গুলো তিনি নিজেই করতেন । এ ছাড়াও আমাদের কাজ গুলো সম্পন্ন হলেও ৩ থেকে ৫% টাকা না নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করে না। তার টাকা না দিলে তিনি সাইডে নানা ভাবে হয়রানী করে যার কারনে আমরা দিতে বাধ্য হই । আর তা ছাড়া চলমান প্রতিটি ল্যাটিন থেকে তাকে আলাদা করে ১০০০ টাকা দিতে হয়েছে । ১০০ ল্যাট্রিনের কাজ করেছি বিল নেওয়ার সময় তাকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে এসেছি । টাকা না দিলে তিনি বিলে স্বাক্ষর করে না । প্রতিবাদ করলে হয়রানী হতে হয়। আমার চাকরি জীবন আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি কখনো কোন ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নেয়নি। আমি সদরে থাকা অবস্থায় ৫০০ ল্যাটিনের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় আমি বদলী হয়ে যায় এখানে কোন অনিয়ম কিংবা অর্থ আদায় অথবা দুর্নীতির কোন সুযোগ নাই। একটি কু চক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা দিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য নানা পায়তারা করে আসছে। সংবাদে আরো বলা হয়েছে,চাকরির পর অনেক জমি জমা ক্রয় করেছেন। ইতোমধ্যে তার দুর্নীতির কিছু আলামতও স্পষ্ঠ হতে শুরু করেছে। উপ সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম আপদ মস্তক একজন দূর্নীতিবাজ মানুষ। টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কমিশন বাণিজ্যসহ কাজ না করে সরকারি অর্থ তসরুপের বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রহস্যজনক কারনে আজ পর্যন্ত কোন তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । সে সব ফাইল আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি আটকে রেখেছিলেন। বর্তমানে বেশ খানিকটা ভীতির মধ্যে রয়েছে এই দূর্নীতিবাজ সহকারী প্রকৌশলী। এ কারণে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সরকারি দপ্তরে আটকে থাকা ফাইল গুলো যাতে নতুন করে গতি না পায় সে জন্য তৎপরতা শুরু করেছে তিনি। মুলত বিষয় হলো, দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা আমার ক্ষতি সাধন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমার স্তী কিংবা আমার নামে কোন লাইসেন্স নেই। আর তা ছাড়া আমার অফিসের স্টাফরা আমার বিষয়ে আরো ভাল জানে। আমার অফিসিয়াল সকল ডকুমেন্ট সঠিক আসে। আমার নামে তেমন কোন সম্পত্তি নাই। আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বানোয়াট, মিথ্যা তথ্য সাজিয়ে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও সম্মান হানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবই মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক, হয়রানীমূলক এবং সম্মানহানিকর। এসব সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আমি এ ধরনের কাল্পনিক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
মাজেদুল ইসলাম
Post Views: 27
Like this:
Like Loading...
Related