সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্তের দাবি জানিয়েছে সাওতালর
জনগোষ্ঠির নেতারা। ঢাকা মহানগরের সিবিসিবি অডিটোরিয়ামে ১৬৭ তম
সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় নেতারা সরকারের কাছে
এ দাবি করেন। এছাড়াও সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসীদের জন্য
পৃথক মন্ত্রণালয় গঠণ, সরকারি চাকুরীতে ৫% কোটা বরাদ্দেরও দাবি জানিয়েছেন
তারা।
বক্তারা বলেন, ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে ৩০ জুন, বর্তমানে ভারতের সান্তাল পারগানার
ভগনাডিহি গ্রামে সাঁওতাল নেতা সিধূ-কানহু, চাঁদ-ভাইরো, ফুলো-
চাঁদমনি’র নেতৃত্বে হাজার হাজার নির্যাতিত-নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত
মানুষ একাত্মতা ঘোষণা করেছিলো। সুদখোর, মহাজন ও ব্রিটিশ অসাধু
প্রশাসনের অন্যায়-অত্যাচার ও নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ভূমি অধিকার
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেদিনই সাঁওতাল নেতা সিধূ-কানহু স্বরাজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা
করেছিলেন। এ বিদ্রোহ ছিল অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে, অধিকার বঞ্চিত জনগণের
ঐক্য ও প্রেরণার আলোকবর্তিকা। আন্দোলনের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে ’৭১-এ
মহান মুক্তিযুদ্ধে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকেও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে
পড়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।
এদিকে সকাল ১১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মাথাই টুডু দিবসটি উপলক্ষে একটি
শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন।
মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা আদিবাসী বান্ধব রাষ্ট্র গঠন করতে পারিনি। বাংলাদেশে
আদিবাসীদেও ভূমি সমস্যাটি প্রকট। ভূমিকে কেন্দ্র করেই আলফ্রেড সরেন,
গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্মের তিনজন সাঁওতালকে নির্মম ভাবে হত্যা করা
হয়েছে; কিন্তু তাদের সেই বিচার এখনও বাংলাদেশে ফয়সলা হয়নি।
জনউদ্যোগের সদস্য সচিব তারিক হোসাইন বলেন, আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায়
সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।
উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি যতীন মারান্ডীর সভাপতিত্বে
এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রভাত টুডু’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন
অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জন উদ্যোগের সদস্য সচিব তারিক হোসাইন,
ফাদার আন্তনী হাঁসদা, ফাদার ফ্রান্সিস মুরমু, রেভা. বার্নাবাস হেমব্রম, শিমন
বাস্কে, শ্যাম সুন্দর সাহা, রোজলীন তিথী মারান্ডী প্রমূখ।