মাধ্যমিক (বিজ্ঞান) পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন।
অত:পর ১৯৮০ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
থেকে ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পরবর্তীতে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, ঢাকা থেকে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি কর্মজীবেন বিএডিসি, পিডব্লিউডি এবং এলজিইডি-তে চাকুরি করেছেন। দীর্ঘ চাকুরি জীবন শেষে উপজেলা প্রকৌশলী (গ্রেড-৫) হিসেবে তিনি অবসর আসেন।
কবি প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ্জাহান ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা বাধাপ্রাপ্ত হয়। সরকারি চাকুরি হতে অবসর গ্রহণের পর তিনি পুনরায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করেন। তিনি কবিতা, প্রবন্ধ ও ছড়া লেখা শুরু করেন ঋদ্ধ হস্তে। পত্রিকা, সাময়িকী এবং অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনে তাঁর লেখা প্রকাশনার মাধ্যমে তাঁর লেখনি সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে
স্বদেশ-বিদেশে। তাঁর লেখা একক কাব্যগ্রন্থ ‘সেই নদীচরে’ ২০২২ (উজান প্রকাশন) পাঠককূলে প্রশংসিত । কিশোরগঞ্জের সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন ‘জেগে ওঠো নরসুন্দা’র ১৯তম ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা ২০২৩ হতে তিনি সাহিত্যে ‘রফিকুল হক দাদু ভাই সাংগঠনিক সম্মাননা পদক’ প্রাপ্ত হন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর আজীবন সদস্য এবং সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন ‘জেগে ওঠো নরসুন্দা’র উপদেষ্টা। কবিতার সাথে আজন্ম সখ্যতায় নিজের মনকে গড়েছেন তিনি। তাঁর অভিজ্ঞ মন সবুজ পাতার মতো দুলে উঠেছে কবিতায়। কবির লেখায় বাংলার মাটি, বাঙালির মন, আকাশ-নদী,পাখি,বৃক্ষ সর্বোপরি প্রকৃতি ও জীবনের কথাই স্থান পেয়েছে সর্বত্র । তাই তিনি প্রকৃতির কবি হিসেবে অনেকের নিকট পরিচিত।