তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌর এলাকার প্রকাশনগর গ্রামবাসি কথিত শতবর্ষী রাজনৈতিক ও তিনপ্রজন্মের জনপ্রতিনিধি পরিবারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে, বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন প্রতিনিয়ত গুঞ্জনের ডালপালা মেলছে। স্থানীয়রা জানান, দলের সাংগঠনিক পদ, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন, চাকরি ইত্যাদির প্রলোভন দেখিয়ে এই পরিবারের সদস্যরা সাধারণ মানুষের কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে কেউ শহরে বিলাস আবার কেউ গ্রামে জমিদারিভাবে জীবন যাপন করছে। তাদের খপ্পড়ে পড়ে সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে পথে পথে কাঁদছে, তারা বুক উঁচিয়ে চলছে। প্রকাশনগর গ্রামের বাসিন্দা জনৈক আরিফুর, আফসার, আবু তালেব, নুরনাহার ও রয়েলসহ একাধিক বাসিন্দা বলেন, এই পরিবারের এক ভাই গভীর নলকুপের অপারেটর হয়ে রামরাজত্ব কায়েম করেছে। টকটকিয়া মৌজায় তার ডিপ স্কীমের সাধারণ কৃষকের জমি জোরপুর্বক আলু চাষিদের কাছে ইজারা দিয়ে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে চলেছে। আরেক ভাই প্রকাশনগর মৌজায় ডিপের অপারেটর হয়ে সাধারণ কৃষকদের শোষণ করছে। তার নিজের মিনি মটরের স্কীমের জমি ডিপের পানিতে সেচ দিচ্ছে, আর সাধারন কৃষকের ফসলের জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও তাদের গবাদিপশুকে ডিপের পানিতে গোসল করানো হলেও গ্রামের মানুষ খাবার পানি পাচ্ছেন না। তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে সেচচার্জ আদায়ের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়, জমির ফসল কেটে নেয়া, ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান, ট্রান্সফরমার মেরামত-ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী, অফিস খরচ ও সিরিয়াল ইত্যাদি অজুহাতে কৃষকের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করছে। এছাড়াও গভীর নলকুপের আয় ব্যয়ের কোনো হিসাব তিনি কাউকে দেন না বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেছে।ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করায় দলের ভাবমুর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে। অথচ তারা আদর্শিক আওয়ামী লীগ ও দানশীল পরিবার বলে দাবি করে আসছে, এসব ঘটনা তাঁর নমুনা মাত্র। এদিকে উপজেলার কচুয়া এলাকার জনৈক সোনা কাজি বলেন, তার জমি নিয়ে বিরোধের সালিশের জরিমানার প্রায় ৬ লাখ টাকা এই পরিবারের বড় ছেলে আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও রাজনৈতিক কর্মসুচির নামে এক পেট্রোল পাম্পের প্রায় ৮ লাখ অপরটির প্রায় ২ লাখ, আমিন হোসেনের প্রায় ২২ লাখ, পাড়িশোর বাবুর প্রায় ৬ লাখ ও প্রকাশনগরের রয়েলের প্রায় ৬ লাখ টাকা হজম করেছে। এদিকে স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের লোভ দেখিয়ে মসলেম উদ্দিনের প্রায় ৫০ লাখ, সালামের প্রায় ৮ লাখ, রফিকের প্রায় ২২ লাখ বিজেনের প্রায় ৮ লাখ, বাচ্চুর প্রায় ৬ লাখ, রবিউলের প্রায় ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মানুষের মুখে মুখে প্রচার আছে। এসব তো শুধুমাত্র নমুনা। আবার এই পরিবারের কেউ, এমপি, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান, কেউ ইউপি চেয়ারম্যান-কেউ সদস্য, কেউ কাউন্সিলর, কেউ চৌকিদার ইত্যাদি স্বপ্ন দেখছেন। অথচ এরা আদর্শিক আওয়ামী লীগ, তিনপ্রজন্মের জনপ্রতিনিধি, শতবর্ষী রাজনৈতিক পরিবার, দানশীল, দাতা হাতেমতায়, সমাজসেবক, পরোপকারী ইত্যাদি বিশেষণে প্রচারণা করে বছরের পর বছর সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। #