দত্তপাড়া ভূমি অফিসে তহশিলদার কতৃক সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। দত্তপাড়া ভুমি অফিসে কর্তব্যরত তহশিলদার আনোয়ারা বেমম এবং তার অফিস সহকারীদের বিরোদ্ধে সাধারণ মানুষদের উপর হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তহশিলদার আনোয়ারা বেগম সাধারণ মানুষদের থেকে বকশীশ ছাড়া খাজনা জমা নেন না বলে একাধীক বোক্তভুগী জানিয়েছেন। কেউ যদি বকশীশ দিতে অশ্বিকার করে তাহলে বিভিন্ন অযুহাতে খাজনা আদায় না করে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয় এসিল্যান্ড আনোয়ারা বেগম। স্থানীয়রা জানান দুপুরের পরে কেউ যদি ভুমি অফিসে খাজনা দিতে যায় তাহলে আনোয়ারা বেগম তাদের খাজনা জমা না নিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। প্রতিদিন তিনি দুপুর ২.০০ টা পর্যন্ত অফিস করে ব্যাক্তিগত কাজে চলে যান। ঠিক মত অফিস না করার অভিযোগও আছে এই তহশিলদারের বিরোদ্ধে। এ বিষয়ে ভুমি অফিসে অনন্য কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তারা আনোয়ারা বেগমের ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। অফিস সহকারী কর্তব্যরত দ্বীপা রানী জানায় দত্তপাড়া ভুমি অফিসে একমাত্র আনোয়ারা বেগমের হাতের ইশারায় চলে। আনোয়ারা বেগম যখন যে নিয়ম করেন তখন সে নিয়ম মানতে অফিসের সকল কর্মকর্তা বাধ্য। চাকরি হারানোর ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেনা, তাই আনোয়ারা বেগম যখন যে নিয়ম করেন তখন সে নিয়ম মাথা পেতে মেনে নিতে বাধ্যকরে সবাইকে। সরকারের কোন আইনের তোয়াক্কা না করে তহশিলদার আনোয়ারা বেগম নিজের ইচ্চামত ১০.০০ টার পরে অফিসে আসেন এবং ২.০০ টার পরে চলে যান। এসব দেখার যেন কেউ নেই, আর এসবের বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সরকারী সময় অনুযায়ী জোর করে কেউ খাজনা দিতে চাইলে বিভিন্ন কাগজপত্রের অজুহাতে সাধারণ মানুষদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে, দেখা যায় পরের দিন ঐ কাগজপত্র দেখেই খাজনা নেন একই ব্যাক্তি। এ বিষয়ে জনসাধারণ খুবই ভোগান্তিতে আছে।