★প্রথম পার্ট
ডঃ কালাম তখন ভারতের রাষ্ট্রপতি একদিন কুন্নুর ভিজিট করতে যান। সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন ★ফিল্ড মার্শাল স্যাম ম্যানেকশ সেখানকার মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। স্যার কালাম ম্যানেকশকেদেখতে যেতে চাইলেন যেটা ছিল তার নির্দিষ্ট সিডিউলের বাইরে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা হয়ে গেল।
★ম্যানেকশর বেডের কাছে কালাম পনেরো মিনিট মতো ছিলেন। তাঁর স্বাস্থ্যের খবরাখবর নিলেনবেরোবার আগে স্যর কালাম ম্যানেকশকে জিজ্ঞাসা করলেন-★ আমি কি তোমার জন্যে কিছু করতে পারি? কোনো অভিযোগ বা চাহিদা? যার সমাধান হলে তুমি আনন্দ পাবে।
★ দ্বিতীয় পার্ট
ম্যানেকশ বলল- হ্যা ইওর এক্সেলেন্সি আমার একটা অভিযোগ আছে।
★কালাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন- কি সে অভিযোগ?
★স্যাম বলল-আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছিনা আর আমার প্রিয় দেশের শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি কে স্যালুট করতে পারছিনা। স্যর কালাম ম্যানেকশর হাত ধরলেন। দুজনেরই চোখ জলে ভরে গেল।
★ তৃতীয় পার্ট
সবশেষে স্যাম স্যর কালামকে জানালেন প্রায় বিশ বছর ধরে তাকে যে পেনশন দেওয়া হচ্ছে সেটা ফিল্ড মার্শাল পোষ্টের নয়। সৈনিকের পোষ্ট।
★চতুর্থ পার্ট
এরপর রাষ্ট্রপতি দ্রুত দিল্লী পৌঁছে একসপ্তাহের মধ্যে স্যামের পেনশনের টাকা এরিয়ার সমেত মঞ্জুর করেন।
★প্রায় ১.২৫ কোটি টাকা। ডিফেন্স সেক্রেটারি কে দিয়ে স্পেশাল প্লেনে করে ওয়েলিংটনের উটিতে পাঠান যেখানে স্যাম হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আর এটাই এ.পি.জে.র মহত্ত্ব।
★পঞ্চম পার্ট
এরপর স্যাম যখন সেই চেকটা হাতে পেলেন, সঙ্গে সঙ্গে সেই চেকটা আর্মি রিলিফ ফান্ডে দান করে দিলেন।
★শেষপার্ট
এখন আপনি কাকে স্যালুট করবেন? স্যাম ম্যানেকশ নাকি এপিজে আবদুল কালামকে? দুজনের একজনেরও ব্যাংক একাউন্ট নাই।
★সর্বশেষ – আমাদের দেশের মহামান্য সেলিব্রেটিদের কি এমন উদাহরন আছে?
Post Views: 376
Like this:
Like Loading...
Related