রকিবুল ইসলাম রুবেল, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধিঃ
আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরের অভয়নগরের বিভিন্ন স্থানের কামারশালার কারিগররা। দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। লোহার আওয়াজ, হাপরের ফোঁসফাঁস আর হাতুড়িপিটার টুংটাং শব্দে মুখর এখন কামারপাড়া।
সরেজমিনে অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, হাপর দিয়ে কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে লাল করে ছোট-বড় নানা আকারের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, বটি, দা, চাপাতি ইত্যাদি। নতুন অস্ত্র বানানোর পাশাপাশি পুরনো অস্ত্র শান দেওয়ার কাজও করতে হচ্ছে সমানতালে। ক্লান্তহীনভাবে চলছে কাজ, কথা বলার ফুরসত নেই কারো। শেষ সময়ে এসে কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দা, বটি, ছুরি, চাপাতি তৈরিতে। এত পরিশ্রমেও তাদের মুখে হাসি ফুটছে। এ উপার্জনই হয়তো অনেকের সারা বছরের আহারের যোগান দেবে।
জানা যায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কামারশালায় সারা বছরই লোহার তৈরি দা, বটি, ছুরি, চাপাতি, কোদাল, কুড়াল, কাঁচি পাওয়া যায়। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পুরনো যন্ত্রপাতিতে বেড়েছে শানের কাজ।
বিক্রেতারা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, দা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, চাপাতি ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অন্য বছরের তুলনায় দা, বটি, ছুরি, চাপাতির দাম একটু বেশি।
নওয়াপাড়া পৌরসভার ফারাজী পাড়ার বিপ্লব কর্মকার এ প্রতিবেদককে জানান, ঈদ এলে আমাদের কেনা বেচা বেড়ে যায়। ঈদের দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকে কাজের চাপে দম ফেলার অবস্থা থাকে না। তবে শানের কাজ বেশি। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার বেঙ্গল গেট এলাকার সুজন কর্মকার জানান, এ মুহূর্তে কারিগর সংকট। এ পেশায় এখন কেউ আসতে চায় না। ঘাটের লেবার দিয়ে কাজ করাতে হয়। গত বছরের তুলনায় কেনা বেচা কম। এ বছর চায়না স্টিলের সরঞ্জাম কিনছে অনেকে। তবে তাদের চেয়ে ভালো মানের জিনিস তৈরি করছেন তারা। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে এসে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় খুুশি তারা। বর্তমানে এ পেশাকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলে সরাকারি সহযোগিতা কামনা করছেন। তারা বলেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষন, ছিনতাই, ডাকাতি বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল/বিক্ষোভ
ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষন, ছিনতাই, ডাকাতি বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল/বিক্ষোভ জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ‘ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ার আগেই ধর্ষকদের ফাঁসি নিশ্চিত করুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শহর জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছে শিক্ষর্থীরা। আজ দুপুরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় জেলা স্কুল থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল বের করে ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহরের চৌরাস্তা মোড় হয়ে কালিবাড়ী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় দিয়ে ফিরে এসে জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে। কণ্ঠে তাদের উচ্চারিত হয়, আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা দেশে আসংকাজন হারে ধর্ষন, ছিনতাই, ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেক প্রকাশ করে শ্লোগান দেয়। দেশের এই আইন শৃংখলার পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেকে আসামীদের দ্রুত বিচার ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানায়। মিছিলে সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহ শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।