যে নিউজটি করা হয়েছে তা পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। ওয়াসাতে অবৈধ সুযোগ না পাওয়ার কারণেই এমন মিথ্যা সংবাদ করা হয়েছে। আমেরিকাতে চৌদ্দটি বাড়ি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। এমনকি বাংলাদেশ তার কোনো সম্পত্তি নেই৷
সোমবার (০৯ জানুয়ারি) সোনালীনিউজের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন তিনি। সোনালীনিউজকে তাকসিম এ খান বলেন, ইতোমধ্যেও এরকম বহুবার আমার বিরুদ্ধে এ জাতীয় রিপোর্ট এসেছে। যার এক প্রমাণিত হয়নি। কাজেই এটা হলো পুরোটাই অসত্য এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
তিনি বলেন, নিউজটি আমি দেখলাম। এটি একশত ভাগ অসত্য এবং অত্যন্ত ভিত্তিহীন এবং অত্যন্ত নিম্নমানের একটা লেখা। এমনকি সাংবাদিকতারও আমার মনে হয় রিপোর্টিংয়ের যদি কোনো মান থেকে থাকে এটা সর্বনিম্নমানের। এটার মধ্যে এতোটুকু সত্যতা নেই।
এ বিষয়ে কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা জানতে চাইলে তাকসিম বলেন, একটা প্রেস ব্রিফিংয়ে আমি বলেছিলাম, এটা কেন করে? তার কারণ হচ্ছে- যারা তাদের হীন কর্মকাণ্ড ঢাকা ওয়াসাতে পরিচালিত করতে পারেন নাই, আমার কর্মচারী হোক বা বাইরের কোনো কন্ট্রাক্টর-ই হোক তারা এগুলো করেন।
ওই প্রতিবেদককে ধন্যবাদ জানান তাকসিম। বলেন, এখানে সবচেয়ে হাস্যকর হচ্ছে তারা যেগুলো দিয়েছে আপনি ইন্টারনেটে আমাদের নাম সার্চ করলে দেখতে পারবেন যে আমি কোথায় ছিলাম এবং কি করেছি এবং এটা কোথায় পেলেন। তারা যে আমার দশটা, আটটা ১৪টা দূরের কথা… একটা কথা ওনাকে ধন্যবাদ জানাই যে উনি লিখেছেন, বাংলাদেশ আমার কোনো আপত্তি নাই। সম্পত্তি নাই তার মানে আমি বাংলাদেশে কোনো সম্পত্তি করি নাই অর্থাৎ আমি অবৈধ কোনো পয়সায় অর্জন করি নাই।
তারপর তিনি বললেন যে, সব আমেরিকাতে। ওনার কি জানা আছে যে আমেরিকাতে একটা লোক চৌদ্দটা বাড়ি কিনতে পারে না এবং সেখানে তাকে কোনো ব্যাংক লোন দেবে না। আর নিজের পয়সায় কিনতে গেলে আয় দেখাতে হয়। কাজেই এই পুরোটাই বানোয়াট, ভুয়া। এটা দুষ্টামি করার জন্য, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এগুলো করেছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, একটা প্রমাণ করতে পারেনি।
তাকসিম এ খান বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে আগে চাকরি করেননি বলে জানান। তিনি বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আমার পুরো পরিবারই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আমি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থেকেই ঢাকা ওয়াসায় এসেছিলাম।
নিজের আয়ের মধ্যে একটা টাকাও হারাম নেই উল্লেখ করে এই প্রকৌশলী বলেন, আমি আগেও বলছি, এখনও বলছি, আমি একটি বাংলাদেশি টাকা অথবা ইউএস ডলার অবৈধ আয় করিনি। একটি পয়সাও আমার হারাম নেই। আমার যা আয় সব হালাল। কাজেই এগুলো বলতে কোনো দ্বিধা নেই যেহেতু আমি জানি হালাল অর্থাৎ এটা পুরোটাই মিথ্যা।
তাকসিম এ খানের সম্পদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দারা তদন্ত করছেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে সেটা আপনি জানেন কিভাবে? এটা হচ্ছে আরেকটা নিম্নমানের কথা। আমরা নিজেরাই জানি এটা গোয়েন্দা সংস্থা কি করতে পারে। এরকম কোনো খবর আমার কাছে নাই এবং ওনার কাছেও নাই। এটা জাস্ট যাচ্ছেতাই একটা লিখে দিলাম আর কি।
এর আগে একটি দৈনিক পত্রিকা তাদের একটি প্রতিবেদনে জানায়, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের ১৪টি বাড়ি রয়েছে। প্রতিবেদনে বাড়ির ঠিকানাসহ উল্লেখ করা হয়।