আওয়ামী লীগের দোসর, ধরাছোঁয়ার বাইরে উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাজেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :
ভুয়া বিল বাউচার, নানারকম দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমানের কাজের মধ্যদিয়ে প্রকল্পের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন  দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম। তিনি এখনো রয়েছে ধরাছোয়ার বাহিরে। সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ৭ বছরের মধ্যে গড়ে তুলেছে শত কোটি টাকার সম্পদ ও নগদ অর্থ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকা কালীন সময়ে নানা রকম অনিয়ম এবং আওয়ামীলীগের দলীয় পোগ্রাম গুলোতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। শেখ হাসিনা সরকারের সময় মির্জা আজমের দাপটে  নিজেকে কাছের ও আস্থাভাজন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া মাজেদ এবার নিজেকে সাচ্চা  জামায়াত বিএনপির লোক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
খোজ নিয়ে জানা যায়,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেছে।  এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের ভাগনী জামাই পরিচয় দিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় জনস্বাস্থ্যের কাজ গুলো তিনি নিজেই করতেন ।  এ ছাড়াও বিভিন্ন ভুয়া বিল বাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।  ইতোমধ্যে  তার কিছু আলামতও স্পষ্ঠ হতে শুরু করেছে। উপ সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম  আপদ মস্তক একজন দূর্নীতিবাজ মানুষ। টেন্ডর নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ বদলি, কমিশন বাণিজ্যসহ কাজ না করে সরকারি অর্থ তসরুপের বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি  । সে সব ফাইল আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি আটকে রেখেছিলেন। বর্তমানে বেশ খানিকটা ভীতির মধ্যে রয়েছে এই দূর্নীতিবাজ সহকা প্রকৌশলী। এ কারণে ছাত্র দল ও যুবদলকে ব্যবহার করে সরকারি দপ্তরে আটকে থাকা ফাইল গুলো যাতে নতুন করে গতি না পায় সে জন্য তৎপরতা শুরু করেছে তিনি ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদাররা জানান,  তিনি আওয়ামী লীগের সময়ে সব কাজ নিজেই করতেন।  সব সময় দাপট দেখিয়ে চলাচল করতেন।  এ ছাড়াও উন্নয়ন মুলক কাজ গুলোতে তিনি ৩ থেকে ৫% টাকা না নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করেন না।  তার টাকা না দিলে তিনি সাইডে নানা ভাবে হয়রানী করে যার কারনে আমরা দিতে বাধ্য হই ।  আর তা ছাড়া প্রতিটি ল্যাটিন থেকে তাকে আলাদা করে ১০০০ টাকা দিতে হয়েছে।  ১০০ ল্যাট্রিনের কাজ করেছি তার কাছে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে এসেছি ।  টাকা না দিলে তিনি বিলে স্বাক্ষর করে না ।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সজিব জানান,মাজেদ স্যার মির্জা আজম স্যারের কাছের ছিল।  শুনেছি আত্মীয় হয়। তার সাথে শুধু আজম স্যার না আওয়ামীলীগের অনেক বড় বড় মন্ত্রীদের সাথে পরিচয় ছিল।  যার কারনে তিনি সুবিধা পেয়েছে খুব সহজে।  এখনও আগের মতো আছেই। কোন পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে সোলায়মান নামের এক বিএনপি নেতা জানান, জামালপুর সদরে চাকরিরত অবস্থায় মাজেদ সরাসরি আওয়ামীলীগের দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করত।  নিজেই সরকারী কাজ গুলো নিজ লাইসেন্স এ করে যেতেন।  তার দাপটে আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনি।  তিনি আওয়ামীলীগের নেতাদের তার আইডি থেকে পোস্ট করে যেতেন।  অচিরেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাই।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলামকে ফোন দেওয়া হলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।
Exit mobile version