আপনি এতোরাতে আমাদের বাড়িতে?ভালোই হলো,বাড়িতে আজ কেউ নেই,বাইরে দাড়িয়ে কেন?ভেতরে আসুন “
ইলার কথায় ভেতরে গিয়ে বসলাম।ইলা আমার দিকে তোয়ালে এগিয়ে দিতে দিতে বললো
” এতো রাতে হঠাৎ আপনি আসবেন ভাবতেই পারিনি “
” বাবা,মা সবাই কোথায় গেছেন? “
” ওনারা বিকেলে গেছেন ছোট কাকার বাড়িতে।এখনো ফেরার নাম নেই।বোধহয় আজকে আর আসবে না “
” তার মানে তুমি বাড়িতে একাই আছো? “
ইলা মুচকি হেসে বললো ” একা কোথায়,আপনিও তো আছেন “
ইলার কথা শুনে মনে আনন্দের একটা স্রোত বয়ে গেলো।তারমানে আমার উদ্দেশ্যটা আজ কাজে দিবে।ইলাকে বললাম
” এতো রাতে কেন এসছি জানো? “
ইলা উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো ” সেটাই তো বুঝতে চেষ্টা করছি।কেন বলুন তো? “
” একটা সারপ্রাইজ দিতে এসছি “
ইলা ভ্রু কুঁচকে বললো ” হঠাৎ করে সারপ্রাইজ? তাছাড়া আপনি নিজেই আমার কাছে সারপ্রাইজের থেকে কম নন।আচ্ছা আপনি রাতে খেয়ে এসছেন তো? “
” হ্যা “
” যাক বাবা বাচা গেলো।ঘরে মুড়ি ছাড়া কিছুই নেই আপাতত “
” ইলা অনেক রাত হয়েছে।আমায় ঈশার ঘরটা খুলে দাও,খুব ঘুম পাচ্ছে “
.
ঘড়িতে সময় দেখলাম।১১:৪০ বাজে।সময় হয়ে এসছে।যা করার এক্ষুনি করতে হবে।বিছানার নিচ থেকে চকচকে ছু’ড়িটা হাতে নিতেই একটা ফোন এলো।রিসিভ করতেই ওপাস থেকে বললো
” আমরা বাড়ির বাহিরে আছি,”
আমি বললাম ” আমি ফোন দেওয়া মাত্র চলে আসবে।এখন রাখি। মনে রাখবে,একদম দেরি করা চলবে না “
বাহিরে বৃষ্টি হওয়ায় পুরো বাড়ি অন্ধকার।ফোন স্ক্রিনের আলোয় ইলার রুমের দরজায় এসে উপস্থিত হলাম।দরজায় টোকা দিয়ে পকেট থেকে ছু’ড়িটা হাতে নিলাম।ইলা মনে হয় জেগে ছিলো তাই প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে বললো
” কি হয়েছে দুলাভাই? “
” আমি তোমার সাথে বড় একটা অন্যায় করবো ইলা “
ইলার মুখ মুহুর্তেই ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।ঘাবড়ে গিয়ে বললো ” মা..মানে? কি বলছেন এসব? “
এতটুকু বলতেই ইলার চোখ পড়লো আমার হাতে থাকা ছু’ড়িটার উপর।ছু’ড়িটা দেখে ভয়ে একটা চিৎকার দেবে তার আগেই ওর মুখ চেপে ধরলাম।এরপর……….
চলবে?