ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে “শাহরাস্তি প্রেস ক্লাবের আনন্দ ভ্রমন-২০২৪।”

হাসান আহমেদ বাবলু :রাত সাড়ে দশটা থেকে এক এক করে সদস্যরা প্রেস ক্লাবে আসতে শুরু করে। রাত এগারোটার মধ্যে সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রেস ক্লাবের পরিবেশ আনন্দঘন হয়ে উঠে।  শাহরাস্তি প্রেসক্লাব পরিবারের ১০০ জন সদস্যের আনন্দ ভ্রমন।  রাত এগারোটয় উপজেলাস্থ প্রেসক্লাব অফিসে প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইলিয়াস মিন্টু ভাই প্রেস ক্লাবের লোগো সম্বলিত ক্যাপ পরিয়ে কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন । তার পর প্রেস ক্লাবের দাতা সদস্য ইজ্ঞিনিয়ার মোঃ মকবুল হোসাইন ব্লেজার ও কোট পিন সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়ার পর রাত ১১টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিক আনন্দ ভ্রমনের উদ্ভোধন ঘোষনা করেন।  এই সময় প্রেসক্লাবের সভাপতি মইনুল ইসলাম কাজলের নির্দেশনায় যথা যথ ভাবে সিটগ্রহন করেন। তার পর রাত ১২টা ১৫ মিনিটে  শুরু হলো আমাদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আনন্দ ভ্রমণের যাত্রা।

বাস যখন চলা শুরু করলো তখন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন শাঁ শাঁ শব্দে তার উল্টো দিকে দৌঁড়াচ্ছে। যাইহোক! আমাদের বহনকারী গাড়িটি রাত তিনটায় পথে ২০ মিনিটের একটা যাত্রা বিরতি দিলো। গাড়ির সুপারভাইজার বললেন, সবাই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আবার গাড়িতে উঠতে। আমরাও সবাই নেমে যে যার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিলাম। এরপর আমাদের সাথে থাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও খাদ্য বিভাগের দায়িত্যে থাকা রাফিউল হাসান হামজা  সবাইকে নিয়ে নাস্তা করালেন। নাস্তা শেষে আবারও গাড়িতে উঠে পড়লাম। গাড়িটা চলা শুরু করলো। ভোর আটটা নাগাদ আমরা কক্সবাজারের পর্যটন মোটেল লাবনীতে গিয়ে পোঁছালাম। একে একে আমরা প্রেস ক্লাব পরিবারের সবাই গাড়ি থেকে নেমে হাটা শুরু করলাম মোটেলের  দিকে। সেখানে আগে থেকে আমাদের জন্য কাজল ভাই ২৫টি রুম ঠিক করে নিলেন। সবাই রোমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠে সবাই জুমার নামাজ আদায় করে হোটেলে ফিরে আসি।  দুপুর ২টায়  ডাক এলো দুপুরের খাবার গ্রহনের। খাবার গ্রহন শেষে সবাই উম্মুক্ত ভাবে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরতে যায়। তারপর বিকালের নাস্তা করার পর আবারও কাজল ভাই সবাইকে নিয়ে বিচে গেলেন। সূর্যাস্ত ডোবা দেখা ও সেখানে নাচ গানের আনন্দে মেতে উঠার জন্য। যাইহোক! বিচে গিয়ে দেখা যায় সাগরে জোয়ার শেষে ভাটা পড়ে গেছে। সাগরের বিশাল জলরাশির দক্ষিন থেকে হিমেল বাতাস এসে আমাদের মন ছুঁয়ে দিলো এক পলকে। সন্ধ্যার পর কেউ কেউ পরিবারের জন্য বার্মিজ মার্কেটে কেনাটাকায় ব্যস্ত হয়ে উঠে। আবার কেউ কেউ মুক্ত বাতাসে হারিয়ে যাচ্ছে কোন এক অজানা গাঁয়ে। এরইমধ্যে আমরা সবাই গলাচেড়ে গান ধরি  আসিবে বলে কথাটা দিলে, তুমি আমি মুখোমুখি বসে দুজন, তোর মনের পিঞ্জিরায় তুই কারে দিলি ঠাই, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, মধু হই হই আঁরে বিষ খাওয়াইলাসহ আরো কয়েকটি জনপ্রিয় গান। গানের সুর যতদূর যায় তার গান ও সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ হয়ে চোখের সামনে ছুটে আসে অনেক ভ্রমণ পিয়াসু গানপ্রিয় প্রেমিক। জসিম ভাইয়ের গাওয়া সেই গানগুলো অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করে ছড়িয়ে দেয় পুরো পৃথিবী জুড়ে। সেখানে আরো গান গেয়ে আমাদের আনন্দ ভ্রমনটাকে প্রানবন্ত করে তোলেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজল ভাই, ফয়েজ, হেলাল, হাসানুজ্জামান, রাফিউ হামজা, আমিনুল ইসলাস, হাসান মাষ্টারসহ অন্যনন্য সদস্যরা। রাত নয়টার দিকে সবাই হুই হুল্লোড় শেষে আবারও হোটেলে ফিরে এলাম। ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবারের পালা। কিন্তু রাতে কোন স্বাভাবিক খাবার নয় , ছিল বারবি কিউ পার্টি।  আর সবাই প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল সান্ডি বিচ রেস্টুরেন্টে। মুহুর্তে অন্য এক অভিজ্ঞতা। সাগরের গর্জন আর হালকা আলোতে সে এক ভিন্ন অনুভূতি। তারই মাঝে শিল্পীরগানে আর আমাদের সদস্যদের নাচের তালে সেন্ডি বিচ হয়ে উঠে একটি আনন্দের টুকরা। বয়সের ভেদাবেদ ভুলে সবাই একসাথে নেচে গেয়ে রাত বারোটা যে কখন বেজে গেল সে দিকে কারোই নজর নেই। তার পর রাত ১২টায় পোড়া মাছ আর পোড়া মুরগির সাথে নান রুটি দিয়ে আমরা ডিনার সেরে নিলাম। রাত দুটায় সবাই হোটেলে চলে আসি আর সবাই ঘুমিয়ে পড়ি।
শনিবার সকাল নয়টায় ডাক আসে নাস্তা খাওয়ার । সবাই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হোটেল লাবনীতে নাস্তা করে ১০ টার সময় শুরু হয় পরিবারের সদস্যদের খেলাধুলার পর্ব। আর পর্বটি পরিচালনা করেন ক্রিড়াবিভাগের দায়িত্বশীল হাসান আহমেদ। তাকে সহযোগীতা করেন ক্রিড়া বিভাগের সদস্য মাইনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জুয়েল । এছাড়া অন্যান্য সদস্যগনও সহযোগিতা করেন। এই সময় শিশুদের দৌড়, বেলুন ফোলানো, ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ। এই খেলাগুলিতে কাউকে পরাজিত হতে দেয় নাই। সকল প্রতিযোগিকে বিজয়ী হিসাবে ঘোষনা করেন সভাপতি মইনুল ইসলাম কাজল। তিনি এই সময় বলেন আমরা আসছি আনন্দ করতে । তাই অংশগ্রহনকারী সকলকে আমরা পুরুষ্কিত করব। আর এর মধ্যদিয়ে খেলাধুলা শেষ করা হয় এবং পরবর্তি খেলা রাতে শেষ করার নির্দেশ দেন। তারপর  সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে  আমরা চলে গেলাম লাবনী বিচে। সেখানে সবাই হই হুল্লোড় করে কিছু গ্রুপ ছবি তুলে। এরপর সাগরের জলতরঙ্গ ঢেউয়ের সাথে নিজের গাঁ ভাসাতে সবাই আনন্দে মেতে উঠে। কেউ টিউব নিয়ে নিয়ে সাগরে নেমে যায় আবার কেউবা সমুদ্রের বালুকনায় খালি পাঁয়ে হাটাহাটি শুরু করে। বিচে প্রায় তিনঘণ্টা থাকার পর সবাই চলে গেলাম হোটেলে। সেখানে গোসল  সেরে দুপুরের খাবারের জন্য খাদ্য বিভাগে দায়িত্বে থাকা রাফিউ হাসান হামজা  সবাইকে ডাকলেন। বের হয়ে সবাই বাসে উঠে বসলাম শশুর বাড়ী  নামে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে দুপুরের খাবার সেরে নিলাম। দুপুরের খাবার শেষে আমরা বাস যোগে যাত্রা শুরু করি মেরিন ড্রাইবের উদ্দেশ্যে। আর সেখান থেকে সবাই ফিরে  আসি সন্ধা সাতটায়। সবাই নিজ নিজ রোমে গিয়ে বিশ্রাম নিতে চলে যায়।
এই সময় অধিকাংশ সদস্য সভাপতি কাজল ভাইয়ের নেতৃত্বে চলে যাই ফিস ওয়াল্ডে। ফিস ওয়াল্ডে প্রবেশ করে আমরা ভিন্ন ধরনের আনন্দ উপভোগ করি। সেখানে দেখতে পাই হাজারো জীবন্ত মাছ এ দিক থেকে সে দিক হেটে চলছে। মনে হচ্ছে মাছগুলি আপন মনে বিছরন করছে। ফিস ওয়াল্ডের পরিবেশ এমন ভাবে তৈরী যেন মাছগুলি আপন মনে চলছে। মৃদু আলোতে আমরা একের পর এক ধাপ এগুচ্ছি আর নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ দেখছি। এ এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। এভাবে দেখতে দেখতে আমরা নিচ তলা থেকে তিন তলাতে কখন উঠে পড়ছি তা বলতেও পারব না।
ফিস ওয়াল্ডের তৃতীয় তলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে অনেকগুলি ইভেন্ট। কেনা কাটার জন্য বিভিন্ন রকমের দোকান, কফি সোপ । কিছু সময় সেখানে ব্যায় করে আমরা লিপ্ট এর সাহায্যে নিছে নেমে এসে অটো রিক্সা যোগে হোটেলে চলে আসি। রাত সাড়ে নয়টায় ডাক আসে রাতের খাবার গ্রহনের । নিয়মিত শান্ত পরিবেশে খাবার গ্রহন শেষে  শুরু হয় আমাদের খেলা দুলা। আর ক্রিড়া বিভাগের দায়িত্বে থাকা হাসান আহমেদ এই দায়িত্ব পালন করেন । এই সময় মহিলাদের জন্য নির্ধারিত বালিশ খেলা  ও পুরুষদের জন্য ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।  খেলাধুলা শেষে হোটেলের হল রোমে সকলের জন্য চমক হিসাবে অপেক্ষা করছিল আমাদের সাথে থাকা দুজনের জন্ম দিনের পাটি। আর কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া পার্টি হইচই আর নাস্তা গ্রহনের মাঝে শেষে  কাজল ভাই বললেন সবাইকে ঘুমিয়ে পড়তে, পরদিন সকালেই আমাদের অনেক কাজ আছে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম। রবিবার সকালে খুব ভোরে উঠে পড়লাম সবাই। নাস্তা সেরে  এদিক সেদিক একটু ঘুরাঘুরি করার পর সকলের ডাক আসে হল রোমে যাওয়ার জন্য। এখানে আমাদের জন্য ক্রিড়া বিভাগে দায়িত্বে থাকা হাসান আহমেদ মাইনু, রফিকুল ইসলাম ও জুয়েল সহ মঞ্চ সাজিয়ে রেখেছেন পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ও রেফেল ড্রয়ের। আর সকাল এগারোটার দিকে ফয়েজ আহম্মেদ ও হাসান আহম্মদের সঞ্চালনায় শুরু হয় পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন মইনুল ইসলাম কাজল, মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক স্বপন কর্মকার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল  উদ্দিন। এছাড়া উপস্তিত ছিলেন মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বে থাকা হাসানুজ্জামান, জামাল হোসেন, জসিম উদ্দিন, খাদ্য বিভাগের রাফিউ হামজা , অন্যনান্য সদস্যদের মধ্যে ফয়সাল, মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
চরম আনন্দ ও উৎকন্ঠার মাঝে পুরুষ্কার বিতরন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এক এক করে সকলের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেওয়ার পর শুরু হয় আকর্ষনীয় পর্ব। আর সেটি ছিল রেফেল ড্র। এক এক করে টানটান উত্তেজনার মাঝে রেফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে নানা চমক ছিল। আর সকল চমককে ও সকলের উৎকন্ঠাকে এক পাশে রেখে প্রথম পুরুষ্কার পায় জুযেল। আর এর মাঝ দিয়ে রেফেল ড্র ও অনুষ্ঠান শেষ হয়। আর এই সময় সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। আর সকলকে গাড়িতে উঠার জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য বলেন।
এরপর সদস্যগন নিজের মত করে কেনা কাটার জন্য শহরের বিভিন্ন মার্কেটে চলে যায়। আর কক্সবাজারে আসলে শুটকি, আচার, শামুকের মালা না কিনে কি কেউ ফিরে। যে কারনে সবাই কেনা কাটা করে দুপুর দুইটার মধ্যে সবাই বাসে উঠে বসে।
বাস যাত্রা শুরু করল শশুড় বাড়ী রেষ্টুরেন্ট এর উদ্দেশ্যে। আর ২০মিনিটের মধ্যেই সবাই শশুরবাড়ি এসে পৌচেছি। আর সেখান থেকে সবাই দুপুরের খাবার গ্রহন শেষে বাসে যাত্রা শুরু করি আইকনিক রেল ষ্টেশন কক্সবাজার রেল ষ্টেশনে। আর  রেল স্টেশনে এসে সবাই বিমোহিত। এত সুন্দর দৃশ্য আগে আমরা ছবিতে দেখেছি।  আর স্টেশনে এসে বাস্তবে দেখল। সবাই ছবি তোলা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেল। সবার মনে বাধ ভাঙ্গা আনন্দ। সবাই একঘন্টা ছবি তোলার পর এক সাথে গ্রুফ ছবি তোলা শেষে সবাই বাসে উঠে ।
বাস যাত্রা শুরু করেন কর্নফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টার্নেল এর উদ্দেশ্যে । রাত আটটার দিবে বাস থামে একটি রেষ্টুরেন্ট এর সামনে । সবাই বাস থেকে নেমে নাস্তা গ্রহন করেন। সামান্য বিরতির পর বাস আবার যাত্রা শুরু করে।  রাত ১০টায়ে বাস এসে থামে বঙ্গবন্ধু টানেলের সামনে। সবাই টার্নেল দেখার জন্য উৎগ্রিব ছিল। কেউ কেউ ছবি তোলে, আবার কেউ ভিডিও ধারন করে।   টার্নেল পাড়ি দিয়ে বাস চট্টগ্রাম এসে পোৗছে। বাস চলছে আর চলছে । কখন যে কে ঘুমিয়ে পড়েছে তার কোন খবর নেই। বাস চলছে তো চলছে। রাত দুটায় বাস এসে থামে কুমিল্লা চন্দু হোটেলে। রাত দুটা , কিন্তু মনে হল কোন এক জনবহুল স্থানে দুপুর বা রাতের খাবারের সময়। কেননা এই সময় হোটেলে এত মানুষ দেখে আশ্চার্য হলাম। এত মানুষ এত রাত কোথায় থেকে এল।
রাতের খাবার শেষে বাসে উঠার পালা। কিন্তু এর মাঝে অপেক্ষা করছে সদস্যদের জন্য আরেকটি চমক। আই সময় সভাপতি সকলের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আর বক্তব্য শেষে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক  সকলের হাতে তালুকদার একাডেমী , লোটরা, শাহরাস্তি, চাঁদপুর এর সৌজন্যে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মঞ্জুর আলম কতৃক প্রদত্ত “প্রেস ক্লাব এর লোগো ও আনন্দ ভ্রমনের স্মারক সম্বলিত” মগ তুলে দেন সকল সদস্যদের হাতে।
পরে ভোর সাড়ে চার টায় গাড়ি এসে থামে আপন নীড়ে। তবে এই ট্যুরে একটা ব্যাপার অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে আমাদের সকলের প্রিয় কাজল ভাই কোথাও আমাদেরকে এক টাকাও খরচ করতে দিলেন না। আনন্দ ভ্রমণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল ব্যায় প্রেসক্লাবের পক্ষথেকেই করা হয়। এই আয়োজন সম্পন্ন করতে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সাথে সার্বক্ষনিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন ফয়েজ আহম্মেদ, জামাল হোসেন, হাসানুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম, রাফিউ হাসান, হাসান আহমেদপ্রমুখ দুঃখ জনক হল প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শারিরীক অসুস্থতার জন্য সকল ইভেন্টে অংশগ্রহন করতে সক্ষম হন নাই। এছাড়া আর সকল কিছুতে সকলের হাশি, আনন্দ, বিনোদনের কোন প্রকার কমতি ছিলনা।
আমি শাহরাস্তি পেসক্লাব পরিবারের এবং এই আনন্দ ভ্রমনের একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করছি, পাশাপাশি প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের শাহরাস্তি প্রেসক্লাব পরিবারের চারদিনের এই আনন্দ ভ্রমণটা ছিলো সত্যি অনেক মনোমুগ্ধকর।

Exit mobile version