আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের কোনো ভাবেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে পথসভায় ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, আমাদের লড়াই একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই। যদি আওয়ামী লীগ ফেরত আসে তাহলে আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে। শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছিলেন। আমরা শেখ মুজিব-শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশে আর দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা আর চায় না। আমরা চাই বাংলাদেশ, বাংলাদেশপন্থিদের হাতে থাকবে। বাংলাদেশে দিল্লীপন্থীদের আর কোনো স্থান হবে না।
তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ন্যূনতম সংস্কার করে গণতান্ত্রিক পটপরিবর্তনের জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দুই হাজারের অধিক ছাত্র-জনতার শাহাদাতের বিনিময়ে আমরা সরকার গঠন করেছি। খুনিদের বিচার এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, সে প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার এবং একটি গণতান্ত্রিক পট পরিবর্তনের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা আমাদের সরকারের অঙ্গীকার।
মাহফুজ আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বৈরাচারী আমলে বাচ্চাদেরকেও গুম করা হয়েছে। মা-বোনদের ধর্ষণ করা হয়েছে। খুন করা হয়েছে, হাজার হাজার লোককে পঙ্গু করা হয়েছে। সরকারের অগ্রাধিকারে রয়েছে গুম,খুন, ধর্ষণের বিচার এবং সংস্কার করা। অবশ্যই সব বাংলাদেশপন্থি রাজনীতিবিদদের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, নারী সংগঠন, আলেম-ওলামা সবাই মিলে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাত করেছি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে ব্যবস্থার ওপর দাঁড়িয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কবজা করে মানুষের ওপরে গণহত্যা চালিয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম সংস্কার না করে আমরা যদি নির্বাচন করি তাহলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যাবে। জনগণ কখনই বৈষম্য নিপীড়ন মুক্ত হতে পারবে না।
বক্তব্যে সরকারের সঙ্গে থাকার জন্য স্থানীয়দের অভিনন্দন জানান তিনি। আবারো যখন ডাক পড়বে তখন রাজপথে নেমে আসার আহ্বানও জানান তিনি।