কবিতা প্রেমের চাষের হিসাব নিকাশ

কবিতা
প্রেমের চাষের হিসাব নিকাশ
কবি,কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন জুয়েল
হিসাব নিকাশ না করে করো
তোমারা স্বার্থের মাখামাখি বিত্ত
বেসাত পড়ে রবে উড়ে গেলে
প্রানো পাখি কত জনরে বুকে
লইয়া করো তোমরা প্রেমের চাষ
পাখি উড়লে সোনার দেহ শুধু
একটা লাশ আমাবস্যার নিঝুম ,
রাতে জোনাকিরাও নেই বনে
গুম গুম শব্দে আবার ঝুম বৃষ্টি
অঝড়ে নামে কতরাত যে ঘুম
নেই দুটি চোখে আনন্দের ফিল
নেই চোখেতে লাশ ভাসে ডেঙ্গি
নাউ এর মতন সারি সারি মনেতে
দম নেই প্রতিক্ষণে ভেসে আসে
হিংসার ভয় হবে চুরমার তব  !
অহংকার নিজে নিজে বলী মোরে
তব আয়নার সম্মুখে দাঁড়িয়ে ভয়ে
ওরে কি পেলি বল অন্যেরে করে
আঘাত ভুলে গেছ আজ স্রষ্ঠার
কথা ভুলেছো তার বিধান মানব
জাতির এক পিতা মাতার সন্তান
তারা হলো আদম হাওয়া হোতে
পারলেনা কারুর প্রিয় জন হলাম
আমি কারো শুধু প্রয়োজন করলে ,
যখন সবাই কে নিয়ে আনন্দের
আয়োজন দূর থেকেই চোখের
জল পড়ছিল বার বার চোখ কে
শুধালাম এর কি ছিল খুব দরকার
থাকনা ভালো সে হাসিতে খুশিতে
আমি না হয় রহিলাম চোখের জল
ফেলিতে জন্মে যাত্রা মরণ পথের
বিদায় নিবে শূন্য হাতে জানিসরে
মন তার কি ভাবনা দু চক্ষু বুঝিলে ।
ছুঁয়ে থাকে মৃত শব জীবনের পাখা
সময়ের স্রোত বয় দীর্ঘ আঁকা বাঁকা
বাঁকে বাঁকে দিন রাত সকাল বিকাল
ইতিহাসে মুখ ঢাকে মাস দিন কাল
ডুবে যায় মহারাজ মোহানার ঝড়ে
নূতনের অভিষেক মহারানী খোঁজে
সর্বদা অমৃত-পুত্র  জনতার স্রোত
মরে মরে বেঁচে থাকে কৃতার্থ অবোধ,
অতীতের বুক থেকে শাশ্বত চঞ্চল
বর্তমানে জুড়ে রাখে জন চলাচল
তাদের পায়ের রেখা সত্য চিরন্তন
কর্মের নিপুণ স্রোতে সম্পৃক্ত জীবন
বাঁচার ইন্ধন থাকে সেই কর্মযোগে
বাঁচায় মানব স্রোত নিজস্ব দুর্ভোগে
লাটাই সূতো তোমার কাছে আর
প্রেমর ঘূড়ি আমার কাছে চৈত্র দিনে
ফাঁকা মাঠে এসো আমরা দুজন উড়ি !!
Exit mobile version