বর্ষার মেঘের কোলে, গানের সুর গুনগুন করে,
যেন নদীর জল কাঁপে, মনে হয়, জীবন গায়।
নিষ্প্রাণ প্রকৃতির হৃদয়ে, ঘূর্ণি লাগে সজল নীর,
বৃষ্টি এসে যায়, প্রেমের মতো, সবুজে করে ছেয়ে।
ধানের বীজে, স্বপ্নের কল্পনা, আশার দান,
মাটি হয়ে যায়, ধনীর হৃদি, স্নিগ্ধতার অবধান।
মেঘের সাদা গদির মতো, বাঁশের পাতায় শিশির,
বৃষ্টি পড়লে মনে হয়, চাঁদের ছায়া, মিলনের মিসির।
বর্ষার গায়ে, রঙিন মেঘের শাড়ি, মায়াবী রূপ,
প্রকৃতির অঙ্গনে, কাঁপে সবুজের রূপ।
গ্রীষ্মের তৃষ্ণা মিটিয়ে, রসে ভরায় দুনিয়া,
যেন প্রেমিকের কথা শুনে, ফুলের হাসি, প্রেমের দুনিয়া।
পাতার কণ্ঠে, গেয়ে ওঠে সুর, গুনগুনানির গান,
বৃষ্টির বোঁটা যেন, কাব্যের মত, নাচে প্রাণ।
মাটির গন্ধে শ্বাস নিই, জীবন ফিরে আসে,
পল্লী বর্ষা, হৃদয়ে বাজে, প্রেমের মতো বাজে।
কবিতা ২: পল্লীর স্নিগ্ধতা- বিচিত্র কুমার
পল্লীর রাস্তায়, জল ভরা গর্তে, ছোট্ট পাতা,
নদীর স্রোতের মতো, বয়ে যায়, হৃদয়ে স্নিগ্ধতা।
হলুদ পাঁকা ধানে, দোলন করে, শিউলি ফুল,
বৃষ্টির প্রেমে সেজেছে, কাঁচা ঘর, এক নতুন কুল।
ঘুমন্ত প্রকৃতির কোলে, পাখির কাকলীর কাহিনী,
মাটির গন্ধে ভরে যায়, চৈত্রের গান, সুরের প্রহরী।
বৃষ্টির আলোকে, সোনালী রোদে ঝলমল,
সপ্তপর্ণীর ছায়ায়, যেন প্রেমের ঊর্মি, মধুর জল।
বর্ষার হাসি, জলাশয়ে জাগায়, রাঙা পদ্ম,
পল্লী প্রাণের অন্তরে, বাজে সেতার, প্রেমের অঙ্ক।
প্রকৃতির ওই নৈকট্যে, চুপচাপ বসে আছি,
বৃষ্টি এসে নরম কন্ঠে, প্রেমের গীত গাইছি।
বাঁশঝাড়ে খোঁজে, গোপন মনোবাসনা,
মাটির কান্না শুনে, আসে বর্ষার আশা।
বৃষ্টি নামে, যেন স্বপ্নের খোঁজে,
পল্লী বর্ষা, তোমার কাছে, প্রেমের দোলা, অসীম রোজে।
কবিতা ৩: বর্ষার আবহ- বিচিত্র কুমার
মেঘে ঢাকা, পৃথিবী রূপে, সুখের নূপুর,
বৃষ্টি নামে, সবুজের চাদরে, ধরা পড়ে, মনের কুমার।
পাতার মুখে, বৃষ্টির ছোঁয়া, শিশিরের চুম্বন,
যেন প্রতিটি বোঁটায় লেখা, প্রেমের অমলজনন।
ধানের ক্ষেতে, শস্যের খেলা, সুরভিত বাতাস,
বর্ষার প্রেমে, সবুজ ফুলে, ভরে ওঠে হৃদয়ের ঘাস।
নদীর জল তোলে, স্নেহের স্রোত, মন মোর যায়,
পল্লীর রঙে, জীবনের খেলা, প্রাণে ভাসে, ছায়া হয়।
বাঁশের কূলে, গান গায়, প্রণয়ের সুর,
প্রকৃতির কোলে, বৃষ্টি ঝরে, প্রেমের আবির্ভূত।
যেমন নদীর ঢেউয়ে, অশান্তির মেলা,
বৃষ্টির গানে, শান্তির শহর, জাগে হাসির জ্যোতি।
বর্ষার নিঃশ্বাসে, চাঁদ উঠলে, প্রেমের মায়া,
মাটির বুক চিড়ে, বারি নামে, খোঁজে আলোর ছায়া।
পল্লী বর্ষা, তুমি মোর প্রাণের, আশা-স্বপ্নের ঘর,
প্রেমের দোলায়, খুঁজে বেড়াই, চিরন্তন অঙ্গন-স্বর।
কবিতা ৪: মাটির চাঁদনী- বিচিত্র কুমার
জলরাশি, স্নিগ্ধ বর্ষা, মাটির চাঁদনী,
পল্লীর কোলের মাঝে, বাজায় সুরের গান।
পাতার রেখায়, চুম্বনের মতো, শিশিরে আঁকা,
নদীর কূলে গেয়ে ওঠে, স্বপ্নের আধার মশা।
ধানের ক্ষেতে, সোনালী আশা, ঝরে পড়ে স্বপ্ন,
বৃষ্টির শব্দে, প্রাণে জাগে, আশা-ভরার তৃষ্ণা।
বর্ষার দোলায়, সবুজের রঙে, সিক্ত হয়ে যায়,
যেন প্রেমিকের স্পর্শে, সিক্ত হয় বৃষ্টি, চুপচাপ পায়।
মেঘের চোখে, মাটির হাসি, সুখের স্নিগ্ধতায়,
স্নেহের আঁচল দিয়ে, ঢেকে রাখে সব খেয়ালে।
পল্লীর মাঝে, বৃষ্টি ঝরে, প্রেমের চিহ্ন লুকিয়ে,
সুরের ঢেউয়ে, প্রেমিকের স্বপ্ন, জড়িয়ে থাকে, মেঘ-রূপে।
বাঁশঝাড়ে বাজে, গানের সুর, প্রেমের আলাপ,
বর্ষা আসে, হৃদয়ের মাঝে, এনে দেয় অপার সুখ।
পল্লী বর্ষা, তুমি মোর আলো, প্রেমের ইতিহাস,
যেন মাটির গভীরতা, ঢেকে রাখে হৃদয়ের আস্তানা।
কবিতা ৫: বৃষ্টির আলাপ- বিচিত্র কুমার
বৃষ্টি নামে, চোখের কোণে, স্বপ্নের অরণ্যে,
পল্লীর মাটিতে, কোমল দাগে, স্নেহের গন্ধে।
ধানের গুচ্ছের মাঝে, হাসি ফোটে, স্নিগ্ধ স্বপ্ন,
বৃষ্টির ঢেউয়ে, সবুজের সুর, প্রেমের আগমন।
মেঘের কালে, পথচলার হাওয়া, নিঃশ্বাসের গুনগুন,
পল্লীর ঝড়ের মাঝেও, থাকে প্রেমের চর্চা, নূপুরের অনুবাদ।
শিশির ভেজা রাস্তায়, ফোটে অমলিন ফুল,
যেন সিক্ত প্রণয়ে, জানায় প্রেমের নতুন কাহিনী।
ধূসর আকাশে, তাজা গন্ধে, বর্ষার আরতি,
মাটির কোলে, পাতায় থাকে, আশা-রঙের ঊর্মি।
পল্লীর স্নিগ্ধতায়, জীবনের খেলা, ভালোবাসার আলাপ,
বৃষ্টির সাথে গেয়ে যায়, প্রেমের শ্রাবণকান্না।
বর্ষার গানে, আসে সুখের লহর, নিঃশ্বাসের লালন,
পল্লী বর্ষা, তোমার জন্যই, চিরকালকের গান।
মাটির কাছে, ফিরে ফিরে আসে, নিভৃতে বৃষ্টির কাজ,
পল্লীর এই প্রেমের ভেলায়, জীবন খুঁজে ফেলে সহজ।
নামঃ বিচিত্র কুমার
গ্রামঃ খিহালী পশ্চিম পাড়া
পোস্টঃ আলতাফনগর
থানাঃ দুপচাঁচিয়া
জেলাঃ বগুড়া