উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক এবং একাডেমিক ভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জেরে বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়েট উপাচার্য এখনও অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্যাম্পাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ মেডিকেল সেন্টার অবরুদ্ধ থাকায় ভার্চুয়ালিভাবে তিনি সিন্ডিকেট সভায় যোগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুয়েটে বুধবার কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিছু শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ছাড়তেও দেখা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণের আলটিমেটাম দেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার কথা জানান তারা।
মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া পালটাপালটি ধাওয়া বিকাল পর্যন্ত চলে। এ ঘটনায় অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।