সম্প্রতি রাজধানীর পুরান ঢাকার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা স্মরণকালের এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হিসেবে চিন্হিত হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজার মার্কেট পুরোপুরি পুড়ে যায়। ঐ আগুনের রেশ কাটতে না কাটতে পাশের মার্কেট বরিশাল প্লাজায় আগুন লাগলো। এর পর ধারাবাহিক ভাবে পুরান ঢাকার নবাবপু, হাজারীবাগ এবং সব শেষে নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগে।
এ অগ্নিকাণ্ড মানুষের বিপদের কারণ। সাধারণত অসতর্কতায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকে। আবার মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতার মাত্রা চরম হলেও আল্লাহর পক্ষ থেকে নানা ধরনের আজাব-গজব নাজিল হয়।
দুনিয়ার বিপদ-আপদ, আজাব-গজব থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর স্মরণের বিকল্প নেই। তাই কোথাও আগুন লাগলে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা জরুরি।
আগুন দেখে হতাশ না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তা নিভানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। অতঃপর আল্লাহর কাছে তা সহজে নির্মূলে দোয়া ও আমল করা জরুরি।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন তোমরা উচ্চস্বরে- اَللهُ اَكْبَر – اَللهُ اَكْبَر তাকবির দাও।
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান। কারণ (উচ্চস্বরে- اَللهُ اَكْبَر) তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে। (তাবরানি)
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘আগুন যত ভয়ংকর হোক না কেন; তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে।
আজান দেয়া : আগুনের আক্রমণ যদি বেড়ে যায় তবে উচ্চ স্বরে আগুন নেভানোর নিয়তে আজান দিলেও আল্লাহর রহমতে আগুন নিভে যায়।
পবিত্র কোরআনুল কারিমে একটি আয়াত পড়লে আগুনের কার্যক্ষমতা নিস্তেজ হয়ে যায় এবং আগুন নেভাতে সহজ হয়। যে দোয়ায় হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে আগুন স্পর্শ করেনি। আর তাহলো-
يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া নারু কুনি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’
অর্থ : হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’
ইয়া আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগুন নেভাতে দৃঢ় মনোবলে কোরআন ও হাদিসের উল্লেখিত আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমিন। আমিন।