দ্বিপ্রহর থেকে সূর্য যখন একটু পশ্চিম দিকে হেলে যায়, তখন জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। প্রতিটি জিনিসের আসল ছায়া ছাড়া— তার ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত জোহরের ওয়াক্ত থাকে। জুমা আর জোহরের নামাজের ওয়াক্তও এক এবং অভিন্ন। (আল-বাহরুর রায়েক : ১/৪২৩)
প্রসঙ্গত, ঠিক দুপুরে প্রত্যেক জিনিসের ছায়া যে পরিমাণ থাকে— তাকে ওই জিনিসের আসল ছায়া বলা হয়। কোনো ইমামের মতে আসল ছায়া ছাড়া প্রত্যেক জিনিসের ছায়া যখন একগুণ হয়, তখনই জোহরের সময় হয়ে যায়। এটা হানাফি মাজহাবের ফতোয়া নয়। তাই একান্ত অপারগতা ছাড়া এই মতের ওপর আমল করা যাবে না।
জোহর নামাজের উত্তম সময়
শীতকালে যত তাড়াতাড়ি জোহরের নামাজ পড়া যায় তত ভালো। গরমের দিন এক মিছিলের (ছায়ার একগুণ পরিমাণ) শেষ চতুর্থাংশে পড়া ভালো। তবে জুমার নামাজ সব মৌসুমে প্রথম ওয়াক্তে পড়া উত্তম। (আল-বাহরুর রায়েক : ১/৪২৯)
জুমার নামাজের উত্তম সময়
যখন জোহরের সময় হবে, জুমার জন্য তখনই আজান হবে এবং ওই সময়ই মসজিদে রওনা করা জরুরি। তিনটি কাজ একসঙ্গে হবে ১. ওয়াক্ত হওয়া, ২. আজান হওয়া ও ৩. মসজিদে রওনা। তারপর ১৫/২০ মিনিট কিংবা সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা বয়ান হবে। বয়ান চলাকালীন যাদের অজু প্রয়োজন তারা অজু করে নেবে। বয়ান শেষে জুমার দ্বিতীয় আজান হবে। আজান শেষ হলে খুতবা, তারপর ফরজ নামাজ।
সাধারণত শীতকালে দিন ছোট হওয়ার কারণে একটু আগে ওয়াক্ত শুরু হয়। সর্বোচ্চ দুপুর সোয়া একটা থেকে দেড়টার মধ্যে পুরো নামাজ শেষ হয়ে যাবে। যেহেতু জুমার আগে বয়ানের জন্য দীর্ঘসময় পাওয়া যায় না, তাই নামাজ শেষে পুনরায় দ্বীনি কোনো বিষয়ে বয়ান কিংবা মাসয়ালা-মাসায়েলের আলোচনা হতে পারে।
জুমার নামাজের রাকাত-সংখ্যা
জুমার নামাজ মোট বারো রাকাত। ফরজের আগে (কাবলাল জুমা সুন্নত) চার রাকাত, ফরজ দুই রাকাত, ফরজের পর (বাদাল জুমা) চার রাকাত, ওয়াক্তিয়া সুন্নত দুই রাকাত।