আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আমশো দক্ষিনপাড়া মহল্লাবাসীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মসজিদের উন্নয়নে স্থানীয় সাংসদের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান ও শিতাতাপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) প্রদান করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগের আগামির নেতৃত্ব আবুল বাসার সুজন। জানা গেছে, ১ এপ্রিল শুক্রবার আবুল বাসার সুজন আমশো দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায়, মসজিদ পরিদর্শন এবং মুসল্লীগণের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় এবং মসজিদে এসি প্রদান ও মসজিদের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে সরকারী বিধিনিষেধ মেনে শারীরিক দুরুত্ব বজায় রেখে সকলকে মাস্ক ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্যতম সদস্য রামিল হাসান সুইট ও রোকন সরকার প্রমুখ। এদিকে একই দিন স্থানীয় সাংসদের পক্ষ থেকে আসন্ন মাহে রমজান উপলক্ষে চৌবাড়িয়া হাটে প্রায় ৩ লাখ টাকা মুল্যর গরু জবাই করে সমাজের হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করেছেন। সুজনের এসব সামাজিক কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের আকুন্ঠ সমর্থন তাকে অনেক উচ্চ আসনে নিয়ে গেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে সুজনের এমন সরব উপস্থিতিতে অনেক কথিত হেভিওয়েট নেতার চেহারায় হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, বিগত তানোর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নির্বাচনের মাঠে প্রচারণায় নেমেছিলেন সুজন। এ সময় তিনি এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। পৌর নির্বাচনে তার বিজয়ী হবার উজ্জ্বল সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছিল তবে মনোনয়ন পাননি। কিন্ত্ত মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তিনি দল, নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানীও করেননি। তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থ খরচ করে নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট করেছেন। তিনি ভুলে যাননি তার দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা। অথচ যেখানে ভোটের মাঠে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি সেই কথা ভুলে গেছে, সেখানে সুজন ব্যতিক্রম-এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে সুজন জনসেবার জন্যই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছে। আর সাধারণ মানুষ বলছে, এখন তারা বুঝতে পারছেন সুজনকে হারিয়ে কি ভুল করেছেন। পৌরবাসীর অভিমত তারা রাজনীতি বোঝে না আগামিতে যেকোনো মুল্য সুজনকে পৌর মেয়রের চেয়ারে বসাতে চাই।
Post Views: ৩২০
Like this:
Like Loading...
Related