তানোরে ১৫ বছরে চিকিৎসা সেবায় বরাদ্দ ৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা

 

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে  চিকিৎসা সেবার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৫ বছরে বর্তমান সরকারের সময়ে উপজেলায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রায় ৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উপজেলায় ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উপজেলা সরকারি হাসপাতাল ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতিকরণে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উপজেলা হাসপাতাল ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন ৯টি বরাদ্দ ২০ কোটি টাকা। রোগী পরিবহন সেবা দুটি বরাদ্দ এককোটি টাকা। উপজেলায় এক হাজার ২৩০ জন দুঃস্থ রোগীদের এক কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান। উপজেলা হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে, আধুনিক অপারেশন থিয়েটার,আইভিশন সেন্টার সংযোজন ও ৩টি সেন্ট্রাল অক্সিজেন, বরাদ্দ এক কোটি টাকা। কোভিট-১৯ মোকাবেলায় দুই লাখ ২০ হাজার ৯৩২ জন উপকারভোগীদের বিপরীতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এছাড়াও কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌচ্ছে দেয়া হয়েছে। এসব ক্লিনিক থেকে প্রায় ২৭ প্রকারের ওষুধ বিনামুল্য পাওয়া যায়।এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। বিগত ২০০৬ সালে প্রতি লাখ মানুষের মাঝে মাতৃ মৃত্যুর হার ছিলো ২৭০ জন। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে ২০২৩ সালে মাতৃ মৃত্যুর হার  কমে ১৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। বিগত ২০০৬ সালে প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুর হার ছিলো ৮৪ জন, কিন্ত্ত ২০২৩ শিশু মৃত্যুর হার ৪ গুন কমে দাঁড়িয়েছে ২১ জন। এছাড়াও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিপি মেশিন, ডায়াবেটিস মেশিন,নেবুলাইজারসহ কোভিট-১৯ সময়ে (মাস্ক, পিপি,হ্যান্ড স্যানিটাইজার) ইত্যাদি উপকরণ বিতরণ করেছেন।
এখন প্রশ্ন হলো যে জাতি উপকারীর উপকার শিকার করে না,তারা অকৃতজ্ঞ। আর অকৃতজ্ঞদের ধ্বংস অনিবার্য। সচেতন মহলের অভিমত, আওয়ামী লীগ সরকারের উপকার শিকার ও কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকা এসব মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।
তানোর প্রতিনিধি
Exit mobile version