জিন্নাত হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥
বাজেট হলো সরকারি অর্থব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারীর সার্বিক ক্ষমতায়ন বাংলাদেশের জাতীয় লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য জাতীয় বাজেট হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারী উন্নয়নকে যখন একই সাথে লক্ষ্য ও উন্নয়ন হিসাবে বিবেচনা করা হয় তখন ‘জেন্ডার বাজেটিং’ ধারণাটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জেন্ডারভিত্তিক ন্যায়বিচার অর্জনের মতো দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রয়োজন পড়ে।
‘নারীর জন্য বিনিয়োগ নিশ্চিত করুন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকাল ৪ টায় সত্যেন সেন মিলনায়তন, উদীচী দিনাজপুরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে আসন্ন জাতীয় বাজেটে নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ ও তার বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি ড.মারুফা বেগম এর সভাপত্বিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক রুবি আফরোজ। ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের প্রাক বাজেট প্রস্তাবনা বিষয় উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুবিনা আকতার।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। নারী উন্নয়নে তেমন কোন মৌলিক ও স্থায়ী পরিবর্তন এখনও পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায় না। নারীর জন্য উন্নয়ন বাজেটে সরাসরি বরাদ্দের পরিমান বাংলাদেশের নারী-পুরুষের বিদ্যমান অসমতার প্রেক্ষিতে অতি নগন্য। নারী উন্নয়ন না হলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে না। জাতীয় উন্নয়ন বাজেটে নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোত ধারায় একীভূত করতে হবে। এই প্রয়াসে দরিদ্র নারী ও শিশুর মৌলিক চাহিদা সমূহ পূরণের জন্য অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
প্রাক-বাজেট বিষয়ক মত বিনিময় সভায় মতামত ব্যক্ত করেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ রবিউল আওয়াল খোকা, লেখিকা লায়লা চৌধুরী, জেলা ভেটেরিনারী অফিসার আশিকা আকবর তৃষা, শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার মিন আরা পারভিন ডালিয়া, এসইউপিকে-এর নির্বাহী পরিচালক মোজাফফর হোসেন, এ্যাড. কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষিকা মেরিনা লুৎফি, শাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কানিজ রহমান, সহ-সভাপতি মাহবুবা খাতুন, মিনতি ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা পলি শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক কৃষ্ণা প্রিয়া মুর্মু, জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও পাড়া-কমিটির সাধারণ সদস্যরাও মতামত দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহিলা পরিষদ, দিনাজপুর জেলা শাখার প্রশিক্ষণ গবেষনণা ও পাঠাগার সম্পাদক রুকসানা বিলকিস।
আলোচকরা বলেন, সমাজ উন্নয়নে নারীদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের কথা চিন্তা করা যায় না। এ জন্যই বাংলাদেশের বাজেটে নারী উন্নয়ন তথা জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন যথার্থতার দাবি রাখে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দীর্ঘদিন যাবত নারী-পুরুষের সমতা ভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য নারী বান্ধব বাজেটের দাবী জানিয়ে আসছে। এই দাবীগুলো নারীর জন্য সুযোগ নয় অধিকার। উক্ত সভা থেকে মা ও শিশুর উন্নয়ন সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম সম্প্রসারণ ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ ১৪ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। ##
পলাশবাড়ীতে ভয়াবহ আগুন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে প্রশাসন ও জামায়াত নেতা।
বায়েজীদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মহেশপুর গ্রামের ২০ ফেব্রুযারী বৃহস্পতিবার দিনের দুপুর ২ টার...