পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় দুই সপ্তাহের জামিন পেয়েছেন। আজ ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় তাকে দুই সপ্তাহের জামিন দেন। এছাড়া গত ৯ মে এর পর থেকে তার বিরুদ্ধে যত মামলা দায়ের হয়েছে সেগুলোতে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা যাবেনা বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে বেলা ১১টায় আল-কাদির মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যানকে হাইর্কোটে হাজির করার নির্দেশ থাকলেও সাড়ে ১১টায় তাকে হাজির করা হয়।
হাইকোর্ট চলাকালীন ইসলামাবাদ পুলিশ টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে জানায়, শ্রীনগর হাইওয়েতে একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ফায়ার ব্রিগেড আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে দেশব্যাপী বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের আরেকটি চেষ্টা করা হচ্ছে।
অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইটে দলটির সমর্থকদের শুক্রবারের নামাজের পর সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার আহ্বান জানানো হয়।
তবে পিটিআই নেতৃত্ব পাকিস্তানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। তিনি বলেন, পিটিআই নেতৃত্ব দেশটিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেটি ইতোমধ্যেই অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমরা অর্থনৈতিকভাবে একটা কঠিন সময় পার করছি। আগের সরকার থেকে পাওয়া চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে। পূর্ববর্তী সরকার আইএমএফের সাথে একটি চুক্তি লঙ্ঘন করেছিল এবং আমরা তা মেরামতের চেষ্টা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ফেডারেল মন্ত্রিসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং তার দলকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্র তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ইমরানের দাবির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাধিক জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে তার অভিযোগ মিথ্যা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)’র করা একটি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে।