ধর্মপাশা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানকুনিয়া জলমহালের খলাঘরে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে উপজেলা সদরের সদরের কংস সেতুর উত্তর পাশের সড়ক থেকে আরও ১১জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের একজনের বাড়ি পাশের জামালগঞ্জ উপজেলায় এবং অপর ১০জন আসামির বাড়ি ধর্মপাশা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন,ধর্মপাশা উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মো,মোশারফ মিয়া (৪০), রংপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে আল মোজাহিদ (১৯), একই গ্রামের মো.মিছিল মিয়ার ছেলে মো.মুসলিম মিয়া (২১), রাজাপুর গাজীনগর গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (৩৫), রাজাপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামের আয়েদ মিয়ার ছেলে মো. আদিল (২৬), একই গ্রামের আয়েদ আলীর ছেলে মো,কফিল উদ্দিন (১৯), সুজাত মিয়ার ছেলে মো. শাহাব উদ্দিন (৩০),উছমান গণির ছেলে মাহতাব (২৮), লাছাক্কু মিয়ার ছেলে মো.জিটু (৩৭), নূরুল হক মিয়ার ছেলে আলী আজগর (২৩) ও জামালগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মো.একরাম হোসেনের ছেলে মো.মোকাজ্জল (৩২)। মামলার এজাহার ও ধর্মপাশা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে ধানকুনিয়া জলমহালের জেলেদের খলাঘরে গত ২৪মার্চ দিবাগত রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় ২৬মার্চ রাতে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় একটি ডাকাতির মামলা হয়। মামলার পর বিভিন্ন তথ্য উপা্ত্তের ভিত্তিতে এই মামলায় ছয়জন আসামিকে ইতিপূর্বে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে চারজন আসামি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ধারা জবানবন্দী দেন। এই চারজনের জবানবন্দীতেই ডাকাতির ঘটনায় আরও ১৪জন জড়িত থাকার নাম বেরিয়ে আসে। তারা সবাাই পলাতক ছিলেন। রবিবার বেলা সোয়া একটার দিকে এই ১৪জন পলাতক আসামির মধ্যে ১১জন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার মোহনগঞ্জ বাজারে এসে সমবেত হন। তাঁরা সেখান থেকে অটোরিকশা যোগে নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য ধর্মপাশার বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপজেলা সদরের কংস সেতুর উত্তরপাশের সড়ক থেকে রবিবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে ওই ১১জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশধর্মপাশা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুর রহমা বলেন, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানকুনিয়া জলমহালে জেলেদের খলাঘরে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকায় এই ১১জন আসামিকে রবিবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে উপজেলা সদরের কংস সেতুর উত্তর পাশের সড়ক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই ১১জনই আসামিই এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তাঁদেরকে আদালতে পাঠানো হবে। ডাকাতির ঘটনায় পলাতক থাকা আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চয়ন কান্তি দাস
Post Views: 317
Like this:
Like Loading...
Related