সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
শব্দদূষণ নীরব ঘাতক। দ্রুত নগরায়নের ফলে শহর এলাকায় শব্দদূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শব্দদূষণ
নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
দেশের পাঠ্যপুস্তকে শব্দদূষণের ক্ষতিকর বিষয়গুলোকে অর্ন্তভূক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে
সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি আইনে যথাযত প্রয়োগের মাধ্যমেও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ
করা সম্ভব। আজ ১৮ মে ২০২২ বেলা ১২টায় নটরডেম কলেজের অডিটরিয়ামে আয়োজিত
শব্দসচেতনতা প্রশিক্ষণে অতিথিরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সম্বনিত ও অংশীদারিত্বমূলক
প্রকল্প’ এর আয়োজিত প্রশিক্ষণে নটরডেম কলেজ এর বাংলা বিভাগের প্রভাষক শহিদুল
হাসান এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণের সভাপতিত্ব করেন নটরডেম কলেজ এর অধ্যক্ষ জনাব হেমন্ত
পিউস রোজারিও। প্রশিক্ষণের মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ফজলে এলাহী।
রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট
জনাব নওরীর হক, নটরডেম কলেজ উপাধ্যক্ষ ফাদার সংকর লেনার্ড রোজারিও, পদার্থ বিজ্ঞানের
সহকারি অধ্যাপক মি. তিতাস ভিনসেন্ট রোজারিও, রসায়ন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক
জনাব বিপ্লব কুমার দে। নটরডেম কলেজ এর অধ্যক্ষ বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে নগর
এলাকায় শব্দদূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শহরে বসবাসরত জনগন প্রতিনিয়ন নানা ধরণের
স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। অতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণে নগরের জনগন যেমন শ্রবণ ক্ষমতা
হারাচ্ছে, সেই সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে
অতিরিক্ত শব্দের কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর
সামনে গাড়ির হর্ণ বাজানা নিষেধ থাকলেও অপ্রয়োজনে চালকগণ হর্ণ বাজিয়ে
থাকেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় বিঘœ ঘটে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নটরডেম কলেজ
যেকোন সহযোগীতা করবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট জনাব নওরীর হক তার বক্তব্যে বলেন, শব্দদূষণ
নিয়ন্ত্রণে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। আমরা প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। হাই-ড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী সকল যানবাহনকে
শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আমাদের আগামীর ভবিষ্যত। আজকে এই
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তোমরা শব্দদূষণ এর ক্ষতিকর বিষয়গুলো জানলে। শুধু আইন প্রয়োগ করে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সকলের সমন্বয়েই এই নিরব ঘাতক শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে
হবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে কলেজ কর্তৃপক্ষ আশ^াস প্রদান করেন তাদের সকল কার্যক্রমে
শব্দদূষণ বিষয়ে সচেতন থাকবেন এবং সর্বদা শিক্ষার্থীদের নিয়ে এবিষয়ে কার্যক্রম
চলমান রাখবেন। একইসাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সময়
উপযোগী একটি বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য।