. চট্টগ্রাম সংবাতাঃ-চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা হাইদগাঁও ইউনিয়ন সাতগাছিয়া দরবারে সংলগ্ন পাহাড় ও মাহাদাবাদ, তুলাতুলি, সেন পাড়া আশ্রম এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি। আবুল কাসেম এর পুএ একরাম এর নেতৃত্বে বান্দরবানের রাজারহাট, রাঙ্গুনিয়া পাহাড় দেশীয় তৈরি বাংলা মদ পাহাড়ের সুড়ঙ্গ পথে পটিয়া সাতগাছিয়া এলাকায় প্রজেক্ট এলাকায় এনে সারা পটিয়া পাচার করছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর পাহাড় মহামারি করোনা সংকট সুয়োগ নিয়ে মাদক ও ইয়াবা কারবারিরা ব্যাপারোয়া হয়ে উটেছে। অভিযোগ রয়েছে ১/২ জন কথিত সংবাদকর্মী দৈনিক পাঁচশ একহাজার টাকা দিয়ে জমজমাট ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ও ইয়াবা কারবারিরা। এদের মধ্যে মাদক সম্রাট মাহাদাবাদ এলাকার মোঃ একরাম, মোঃ আলম,হাইদগাও দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ পেয়ারু, মোঃ সেলিম, কচুয়াই উওর শ্রীমাই মাহবুব, হাইদগাও ২ নম্বর ওয়ার্ডের তুলাতল এলাকার মোঃ কাজেম, কেলিশহর কুয়ার পাড়া এলাকার মোঃ ইউনুস এর পুএ সাইফুর রহমান, মরাখাল এলাকার কালু, কাজী পাড়ার আই এম নাজিম, আকবর শাহ মাজার এলাকার কুতুবউদ্দিন, মহিউদ্দিন, বৈদ্য পাড়া এলাকার সেলিম সহ পৃথক পৃথক সিন্ডিকেট গঠন করে একেক এলাকায় জোন হিসেবে ভাগ করে জমজমাট মাদক ও ইয়াবা ব্যাবসা চালিয়ে আসলেও সাধারণ জনগণ তাদের ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। মাদক সম্রাটরা ব্যাবসা করে একন তারা লাখপতি হয়েছেন বলে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে। মাদক ব্যাবসায়িরা রাঙ্গুনিয়া কমলাছডি বান্দরবানের রাজার হাট থেকে মাদক ক্ষয় করে পাহাড়ের সুড়ঙ্গ পথে পটিয়ায় এনে চট্টগ্রাম শহর সহ বিভিন্ন উপজেলায় বিকিকিনি করে থাকে। পটিয়া থানার পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ ব্যাবসা বীরদর্পে করে যাচ্ছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। পটিয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে এত মাদক ব্যাবসায়িকে গ্রেপ্তার করলেও কোন অবস্থাতে মাদক ব্যাবসা নির্মুল করা যাচ্ছে না। ফলে এলাকার তরুণ উঠতি বয়সের তরুণ যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজন জনগণ সচেতনতা এলাকায় মাদক নির্মুল করা জন্য সর্বসাধারণের কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন হাইদগাও- কেলিশহর ইউনিয়নের জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরীর দায়িত্ব প্রাপ্ত উন্নয়ন সমন্বয়কারী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মাদক ও ইয়াবা কারবারি যে হোক তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এছাড়াও আইস ও ইয়াবা উদ্ধারে সময় বেশি ব্যয় হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে। গত সাড়ে তিনমাসে প্রায় ১৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ উদ্ধার করেছে তিন লাখেরও বেশি ইয়াবা। ইয়াবা উদ্ধারে সফলতা রয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশেরও। চলতি মাসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজার ও টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত এলাকা থেকে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ইয়াবা ও ১৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ বা আইস উদ্ধার করেছে।বিজিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এগারোটি অভিযানে এসব ইয়াবা ও ক্রিস্টাল বা আইস উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে ১১ জানুয়ারি টেকনাফের জীম্বংখালি গাবদাসি এলাকা থেকে ৯০ হাজার, ১৫ জানুয়ারি পালংখালির বালুখাল থেকে ২ লাখ, ২৬ জানুয়ারি নাফ নদীর খারাংখালি থেকে এক লাখ ৮০ হাজার, একইদিনে জিন্নাহখাল থেকে দুই লাখ ৫৮ হাজার ও ২৭ জানুয়ারি ঘুনধুম এলাকা থেকে ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে বিজিবি।এছাড়া ১১ জানুয়ারি সাবরাং থেকে এক কেজি, ১১ জানুয়ারি মেরিন ড্রাইভ নোয়াখালী পাড়া থেকে দুই দশমিক ৬৪ কেজি, ১৯ জানুয়ারি জ্বালিয়ার দ্বীপ এলাকা থেকে ৪ দশমিক ১৭৫ কেজি, ২০ জানুয়ারি ৫ কেজি, ২১ জানুয়ারি পশ্চিম টেকনাফের পশ্চিম গোয়ালিয়া থেকে এক কেজিসহ মোট ১৩ কেজি আইস উদ্ধার করেছে বিজিবি টেকনাফ ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন। বিজিবির দাবি এসব আইসের বাজারমূল্য ৬২ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ আইস ও ইয়াবা উদ্ধার করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাচারকারীদের ধরতে পারেনি বিজিবি। বলা হচ্ছে, বিজিবি সদস্যদের দেখে পাচারকারীরা নাফ নদীর শূন্যরেখায় ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কেটে মিয়ানমার সীমান্তে চলে যায়। টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, অল্প বিনিয়োগে দ্রুত আর্থিক লাভের লোভে ইয়াবা ও আইস পাচারে ঝুঁকছে পাচারকারীরা। আমরা চেষ্টা করছি সীমান্তে মাদক পাচার রোধ করতে।২০২১ সালের অক্টোবর-নভেম্বর ও ডিসেম্বর তিনমাসে নগরীর ষোল থানায় মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৩৯০টি। মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে ৫২৮ জন। উদ্ধার করা মাদকের মধ্যে রয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৬৭ পিস ইয়াবা, ২৭৬ বোতল ফেন্সিডিল, ১৩১ কেজি গাঁজা, ৪৩৭ লিটার দেশীয় মদ, ১১৯ বোতল বিদেশি মদের বোতল ও ১২৯ গ্রাম ক্রিস্টার মেথ (আইস)।এছাড়া চলতি মাসের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৮১৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এরমধ্যে ৮ জানুয়ারি বায়েজিদ আতুরার ডিপো থেকে ৫ হাজার, চান্দগাঁও মৌলভীপুকুর পাড় এলকা থেকে ১৬শ, ১১ জানুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ লালদিঘি এলাকা থেকে তিন হাজার, ১৪ জানুয়ারি চান্দগাঁও এলাকা থেকে ৩৪শ, একইদিনে চান্দগাঁও এলাকা থেকে ৭শ, ১৫ জানুয়ারি বাকলিয়া থানা পুলিশ ১৪ হাজার, একইদিনে বন্দর থানা পুলিশ ১৮শ, ১৯ জানুয়ারি নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের কর্মকর্তারা ৪ হাজার ৫শ ১৫ ও ২৫ জানুয়ারি নগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিই জোনের কর্মকর্তারা ১৮শ ইয়াবা উদ্ধার করে।২৩ দিনে সাড়ে তিন লাখ ইয়াবা : র্যাব- ৭ চলতি মাসের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৩ দিনে সাড়ে তিন লাখের বেফশ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে গত ৫ জানুয়ারি বালুখালী পান বাজার এলাকা থেকে ৯৯ হাজার, সীতাকু-ের বড় দারোগাহাট থেকে ৩৭ হাজার ১৫, ৬ জানুয়ারি চন্দরনাইশের দেওয়ানহাট এলাকা থেকে ৫০ হাজার ২০, সহ অনেক।
ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। একই সঙ্গে সুপারিশ পেশ...