বায়েজীদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনে গ্রামীণ অর্থনীতিতে দিচ্ছে সম্ভাবনার হাতছানি। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশী হওয়ায় উপজেলা জুড়ে বাড়ছে এই ফসলের চাষ। ইতোমধ্যেই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের মাধ্যমে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪ ও বারি-১৭ জাতের সরিষার চাষ করায় কৃষকের স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দেবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।
পলাশবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পলাশবাড়ী পৌরসভায় এবছর ৩৮৫ হেক্টর জমিতে বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭ ও বিনা সরিষা-১১ চাষ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, প্রতি হেক্টরে সরিষা উৎপন্ন হবে জাতভেদে ১.৬ মেট্রিকটন। বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সরিষা ভাঙলে প্রতি বিঘায় তেল আসে ১৩০ থেকে ১৫০ লিটার। প্রতিকেজি সরিষার তেল বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
বীজ বপনের ৭০ থেকে ৮০ দিনে সরিষায় ফলন আসে। ক্ষুদ্র এ তেলজাতীয় শস্য সরিষা চাষ সহজ এবং বাজারমূল্য থাকায় পলাশবাড়ী পৌরসভা সহ উপজেলায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
পৌরসভার আমবাড়ী, ও উদয়সাগর গ্রাম এলাকায় ঘুরে জানা যায় বছরের যে সময়টায় মাঠ খালি পড়ে থাকে, সে সময়টা সরিষা আবাদ করে লাভবানও হচ্ছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (পৌরসভা ব্লক) শর্মিলা শারমিন সঙ্গে কথা বলে জানান, চলতি মৌসমে পৌর এলাকায় ৩৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে আমবাড়ী,নুরপুর ও মহেশপুর এলাকায়।
সরকারিভাবে পৌর এলাকায় ৬ একর জমিতে প্রদর্শনীর জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে। ২৫০ জনকে প্রণোদনা ও ২০০ জনকে পূনর্বাসন হিসেবে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন আরো জানান, সরিষা চাষ করতে প্রতি বিঘায় বীজ, সার-ওষুধ ও সেচে কৃষকের সর্বোচ্চ ব্যয় হয় ৭ হাজার টাকা। আর উৎপাদন হয় ৪০০ কেজি, যার বাজারমূল্য ২৫-২৮ হাজার টাকা। আমন ও আউশের মধ্যবর্তী সময়ে কম খরচে বাড়তি আয়ের জন্য কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এবং সরিষা চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছে ।
উপজেলার উদয়সাগর এলাকার বাসিন্দা সরিষা চাষি মোঃ শামিম আহম্মেদ জানান, আমি কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ৯ বিঘা জমিতে সরিষার লাগিয়েছি ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এবং ফলন ভাল হওয়ায় কৃষি অফিসকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের সরিষা চাষি মোঃ মিন্টু মিয়া জানান, এবছর ১৫ বিঘা জমিতে তিনি সরিষা চাষ করেছেন। এবার ৩৬০ থেকে ৩৭০ কেজি সরিষা পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।
Users Today : 105
Users Yesterday : 52
Total Users : 26562554
Views Today : 168
Views Yesterday : 98
Total views : 26729156
Who's Online : 1
Server Time : 2025-03-04
