বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মাদক বেচাকেনার তথ্য পুলিশকে দেওয়ার অপরাধে আল আমিন নামে এক যুবককে মারপিটসহ মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনিষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভূক্তভোগী আল আমিন পলাশবাড়ী পৌরসভার আমবাড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদ সরকারের ছেলে।
আলআমিন একাধারে পলাশবাড়ী সরকারী কলেজ ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি, সাবেক থানা ছাত্র দলের সিনিয়র সভাপতি ও বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) পলাশবাড়ী পৌর শাখার আহবায়ক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্বপালন করছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টাইমস্ এর পলাশবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন আল আমিন।
সংবাদ সম্মেলনে আল আমিন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ও আমার বন্ধু মোঃ সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী হইতে বর্তমান ঠিকানা ছোট শিমুলতলা গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার কালে গত ইং ১১/০২/২০২৫ রাত ১০ টার দিকে হিজলগাড়ী গ্রামের জনৈক মোঃ সাদা মিয়ার মুদি দোকানের সামনে গিয়া দেখিতে পাই, উপজেলার সিধনগ্রামের গোলজার আলীর ছেলে আকাশসহ দুইজন প্রকাশ্যে মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করিতেছে। বিষয়টি আমি পলাশবাড়ী থানার এস, আই মোঃ জুলিয়াস রহমানকে জানাই। তিনি পুলিশ পিক-আপে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গেলে মাদক কারবারীরা পুলিশে আনা গোনা দেখে শটকে পড়ে।
পরে মাদক ব্যবসায়ীদের অন্যান্য সহযোগীরা পুলিশকে সংবাদ দেওয়ার বিষয়ট বুঝিতে পাইয়া আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া মারমুখী ও চড়াও হয়। এ সময় রাতের অন্ধকারে তাহাদের এলোপাথারী আঘাতে আমার মাথা ফাটিয়া রক্তাক্ত জখম হইয়া মারাত্বক আহত করে। আহত অবস্থায় আমাকে পুলিশ উদ্ধার করে পলাশবাড়ী হাসপাতালে নেয়। চিকিৎসা শেষে মাদক কারবারীদের যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে মাদক আইনের একটি মিথ্যা মামলা রুজু করিয়া আমাকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার দেখায়। সেই সাথে আমার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায়ে একটি মামলা করেন। যা আদালতে চলমান আছে। আমি উক্ত মামলায় জামিনে মুক্তি পাইয়াছি।
এই মিথ্যা মামলার তিব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ করিতেছি যে, আমি কোন মাদক কারবারীর সঙ্গে জড়িত নই। এই মিথ্যা ও সাজানো মামলাটির বিষয়ে উচ্চ তদন্ত পূর্বক ঘটনার সঠিক তথ্য উৎঘাটন করিয়া এই মিথ্যা মামলা হইতে নিভৃতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি।
আল আমিন আরো বলেন, আমি একমাত্র মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এবং মাদক বেচাকেনার তথ্য পুলিশকে দেওয়ার কারণে আমার ওপর হামলাসহ পরিকল্পিতভাবে আসামি করা হয়েছে। এটা একটি চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই না। আমি সকল ষড়যন্ত ও চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করিতেছি।
এ ব্যপারে আলআমিন গণমাধ্যমসহ পুলিশ বিভাগ ও বিচার বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সেই সাথে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান আল আমিন।