পাকিস্তানে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৮

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর: বিবিসি।

এদিকে বিক্ষোভ দমনে সারাদেশে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। পিটিআই’র মহাসচিব আসাদ ওমরসহ এখন পর্যন্ত ১ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বিক্ষোভ দমনে পাঞ্জাব প্রদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদ, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়াতেও সেনা মোতায়েনের কথা ভাবা হচ্ছে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনাবাহিনী।

বুধবার (১০ মে) সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেয়। বিবৃতিতে এ সহিংসতাকে ‘কালো অধ্যায়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয় মঙ্গলবার (৯ মে)। এদিন তার গ্রেপ্তারের পরপরই প্রতিবাদে করাচী, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও পেশোয়ারসহ সবগুলো বড় শহরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজপথে নেমে আসে খানের হাজার হাজার কর্মী ও সমর্থক। বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরো অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। পেশোয়ারের লেডি রিডিং হসপিটালের (এলআরএইচ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাশগুলোর শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে।

এছাড়া বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী শহর কোয়েটায় আরো একজন নিহত হয়েছে।

Exit mobile version