বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের একটি অংশ যারা পাকিস্তান বিরোধী ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের এস্টাবলিশমেন্টে বসে আছে।আমার ধারণা তারা পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সৃষ্টিতে বাঁধার কারন।
আবার কিছু ব্রেইনওয়াশড ব্যাকটেরিয়া টাইপ তরুন প্রজন্মের অংশ রয়েছে যারা পাকিস্তানকে অত্যন্ত ভালবাসে।রিয়াসতে পুদিনার গনিকাবাজ পূর্ব উজিরে এ আজম ইমরান খান নিয়াজিকে তারা খলিফা মনে করে।তাদের Strategic Asset বিবেচনা করে করে পাকিস্তান তাদের পলিসি তৈরি করছে।
পাকিস্তানের মিলিটারি এস্টাবলিশমেন্ট কোন যুদ্ধ জিততে পারুক আর না পারুক তারা দুইটি কাজে খুবই পটু।
- প্রথমত, তারা ধর্ষনে খুবই দক্ষ।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাস রেপের ঘটনা তারা ঘটিয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে; তারা খাইবার পখতুনখাতে ও নারী এবং মেয়ে শিশুদের উপর ধর্ষন চালায় এর প্রতিশোধ হিসেবে তেহেরিকে তালিবান পাকিস্তান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে; মাস রেপের আরেকটি ঘটনা প্রবাহ চলছে বালুচিস্তানে।পাকিস্তানের পাঞ্জাবি আর্মি না কখনও আফগান ন্যাশনাল আর্মির সঙ্গে মর্দাঙ্গি দেখিয়েছে না ইন্ডিয়ান আর্মির সঙ্গে তাদের মর্দাঙ্গি প্রমান তারা করেছে, তারা তাদের মর্দাঙ্গি দেখিয়েছে ১৯৭১ এ পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি অবলা নারীদের সঙ্গে,খাইবার পখতুনখার পশতুন মেয়েদের সঙ্গে এবং বালুচিস্তানের নিরস্ত্র বালুচ মেয়েদের সঙ্গে!
- দ্বিতীয়ত তারা ব্রেইনওয়াশডদের খুবই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করতে পারে।এটা পাকিস্তানকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলেছে।তাদের রয়েছে অসংখ্য প্রাইভেট মিলিটারি কনট্রাকটর(আইএস,হিজবুল মুযাহীদীন,লস্কর এ তইবা,আল বদর)।
এখন মূল বিষয়ে আসি, বাংলাদেশের বাস্তবতা হল সেখানকার অধিকাংশ মানুষ পাকিস্তানের প্রতি এখন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখে।এতে আমি দোষের কিছু দেখি না।
বাংলাদেশ পাকিস্তান ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে ঈঙ্গিত করেছেন পাকিস্তানের ISI এর পূর্ব DG জেনারেল আসাদ দুররানি।পাকিস্তানি এজন্য সে QR কোড দেখে কোরানের ভার্স মনে করে এটা ভাবার কারন নেই।ভদ্রলোক অত্যন্ত তোখড় বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন লোক।Realpolitik তার DNA তে রয়েছে।পৃথিবীর জীবিত বুদ্ধিমান ব্যাক্তিদের মধ্যে একজন জেনারেল দুররানি।
জেনারেল দুররানি কোন কট্টর ভারত বিরোধী বা ইসলামিস্ট নয় বরং তিনি ভারতের সঙ্গে সর্বদা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন।আবার ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অধিকাংশ পলিসির হোতা জেনারেল দুররানি।যেমন: ড্রাগ মানি দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে টেরোরিস্ট অভিযান চালানো বা কাশ্মীর নিয়ে ইউরোপ প্রপোগান্ডা চালানো জেনারেল দুররানির ব্রেইন চাইল্ড!
জেনারেল দুররানি বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ভবিষ্যতে ফেডারেশন বা কনফেডারেশন সম্ভব।অধিকন্তু ব্যাপক গনহত্যার ও গনধর্ষনের পরও বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানকে ভালবাসে সেটা পাকিস্তানের মিলিটারি এস্টাবলিশমেন্টের একটি সফলতা।
ভবিষ্যতে কখনও বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হয় তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরি হবে।অধিকন্তু জার্মান ওয়াল ভাঙতে পারলে বাংলাদেশ পাকিস্তানের মধ্যে দেওয়াল ভাঙ্গাবে না কেন।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পাকিস্তান বাংলাদেশের সুসম্পর্কে ভারত,চিন,ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক ফায়দা রয়েছে।কারন নদীর এক পাড়ে ভাঙ্গন ধরলে অন্য পাড়ে চর গজায়!😂😂