লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরসভার মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু তাহেরের কবরের পাশে বসে তাঁর ছেলে একেএম সালা্হ উদ্দিন টিপু দোয়া পড়ছেন। এসময় আশপাশের লোকজনের ধারণকৃত কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এতে মুহূর্তে ছবিগুলো ভাইরাল হয়।
সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে টিপু তার বাবার কবরের পাশে বসে মোবাইল থেকে কিছু দোয়া পাঠ করেন। দোয়া শেষে কবরস্থানের দেওয়াল পরিস্কার করতে দেখা গেছে তাকে।
টিপু সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। তার বাবা মরহুম আবু তাহের লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩ বারের মেয়র।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে রোববার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকায় মহিউস সুন্নাহ জালালিয়া মাদ্রাসার কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। তাহের মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা।
প্রসঙ্গত : দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার পর শনিবার দুপুরে আবু তাহের লক্ষ্মীপুরে নিজ বাসভবন পিংকি প্লাজায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার তিনবারের মেয়র ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের সাহসী নেতা ছিলেন আবু তাহের। রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭২ ও ৭৪ সালে টানা দু’বার তাহের জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পায়। ১৯৭৬ সালে তিনি জেলা যুবলীগের দায়িত্ব পেয়ে সংগঠক হিসেবে দক্ষতার প্রমাণ দেয়। এতে তাকে ১৯৮০ সালে লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৪ সালে একই শাখার সভাপতি, ১৯৮৭ সালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুম আবু তাহেরের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়ান মাওলানা মহিউদ্দিন।
এতে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। যুবলীগ নেতা শামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট শওকত হায়াত, ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার হোসেন কামাল, নজরুল ইসলাম ভুলু, টিটু চৌধুরী, চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, রাকিব হোসেন লোটাসসহ প্রমুখ।