প্রাচীন গ্রীসে মহিলাদের চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন নিষিদ্ধ ছিল । অনেক বছর এভাবে কাটার পর এই নিয়ম ভঙ্গ করেন আগ্নোদিচি ।
৩০০ খ্রীষ্টপূর্বে জন্মে ছিলেন এই বিদ্রোহিনী । তিনি তাঁর চুল ছোট করে কাটলেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করলেন । আলেক্সান্দ্রিয়া চিকিৎসা বিদ্যালয়ে তিনি নাম লেখালেন এক পুরুষ ছাত্র হয়ে ।
ছাত্রজীবনে বিশেষ কিছু ঘটল না । এরপর শিক্ষা শেষ করে তিনি যখন একদিন এথেন্সের রাস্তায় হাঁটছেন তখন শুনলেন এক নারীর প্রসব বেদনায় কান্নার আওয়াজ ।
মহিলাটি কিন্তু তাঁকে শরীর স্পর্শ করতে দিল না পুরুষ ডাক্তার বলে । অবশেষে সকলকে ঘর থেকে বাইরে পাঠিয়ে আগ্নোদিচি মহিলাকে বসন খুলে দখালেন তিনি একজন আদ্যপান্ত মহিলা ।
পেশার জন্য পুরুষ সেজেছেন । এভাবে তিনি প্রথম একটি মহিলাকে প্রসব করালেন এবং ইতিহাসের বুকে আগ্নোদিচি নিজের নাম স্বর্নাক্ষরে লিখলেন প্রথম মহিলা ডাক্তার ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে ।
নিচের প্লেকটি তাঁরই সম্মানে তৈরি করা হয় ইটালির অষ্টিয়ায় ।