১) জীবনকে উপভোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা যৌন ঈর্ষা জনিত জিদ ও প্রতিহিংসা। খাইরুল সুন্দরী সিনেমা তার উজ্জ্বল প্রমান। পরকীয়ায় অভিযুক্ত
মৌসুমী একটার পর একটা বিকল্প অপশন দিতে থাকে। ফেরদৌস কোনটাই গ্রহন করে নি।
খাইরুল সুন্দরী : আমার একটা হাত কেটেছো। এটাকে শাড়ির আঁচলের নীচে লুকিয়ে রেখে তোমার সেবা করবো। তবুও আমাকে মাইরো না। তুমি চাইলে আরো বিয়ে করো। নারী নিয়ে ফুর্তি করো।
ফেরদৌস: তুই আমাকে অন্তরে যে আগুন লাগাইছস। তরে না মারলে আমার বুকের আগুন দূর হইবে না।
আরে ভাই, প্রকৃতিতে সব পারফেক্ট/মনমতো হয় না। বিকল্প অপশন গ্রহন না করে জিদ বজায় রাখলে দুখ/সহিংসতা ছাড়া কিছু অবশিষ্ট থাকে না।
যে বিকল্প অপশন অফার করেছে সে তো অলরেডি ক্ষতিপূরন দিচ্ছে। তাই বিকল্প অপশনকে এনজয় করেন।প্রকৃতিকে মেনে নেন।
কেন শুরুতেই পারফেক্ট হলো না। এটা ভেবে জিদ করে বসে থাকা এবং একটার বদলে তিনটি দিলেও গ্রহন না করা জিদ ও একগুঁয়ে আচরন। ফলে আপনি নিজেই নিজের জিদের বলি হবেন। জীবনে সুখ পাবেন না।
প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ পরায়ন কিংবা আসক্তিজনিত কারনে ক্ষতিপূরন মেনে না নেওয়া। এবং সেই ক্ষতিপূরন/বিকল্প অপশন দিয়ে জীবনকে এনজয় করতে না পারা জীবনের বড় ব্যর্থতা।
প্রশ্ন: আমার বউ কুৎসিত। রাস্তায় সুন্দরী নারী দেখে কষ্ট পাই। ১০ বছর জ্বালা যন্ত্রনায় ভূগার পর বউকে খুন করি।এছাড়া কি বিকল্প সমাধান ছিল?
উত্তর: আপনার বউ যখন কুৎসিত। আপনার বউ নিশ্চয় আপনার এতো বছর জ্বালা যন্ত্রণায় থাকার কারনটি উপলব্ধি করেছিল। এবং আপনাকে ক্ষতিপূরন হিসেবে অবৈধ সম্পর্ক, আরেকটি বিয়ের অনুমতি কিংবা কোন একটি মধ্যস্থতায় পৌছাতে সুযোগ দিয়েছিল।
আসক্তি জনিত কারনে আপনারই বিকল্প অপশন/নতুন কিছু/ক্ষতিপূরন গ্রহন করার মানসিক শক্তি ছিল না। এটাই জিদ।
রাস্তায় যেমন সুন্দরী নারী ছিল। তেমনি ছিল আপনার বউয়ের ক্ষতিপূরন দেওয়ার ইচ্ছে । কিন্তু ছিল না আপনার নতুন কিছু গ্রহন করার মানসিক শক্তি।
প্রকৃতিতে সবকিছু পারফেক্ট/মন মতো হয় না। কেন শুরুতেই পারফেক্ট হলো না। আমার ঐটাই লাগবে এমন জিদ ধরে ক্ষতিপূরন গ্রহন না করলে আপনি নিজেই নিজের জিদের বলি হবেন। জীবনে সুখ পাবেন না।
তাছাড়া যে বিকল্প অপশন অফার করেছে সে তো অলরেডি ক্ষতিপূরন দিচ্ছে। আমাদের উচিত বিকল্প অপশনকে এনজয় করা।
প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ পরায়ন কিংবা আসক্তিজনিত কারনে ক্ষতিপূরন মেনে না নেওয়া। এবং সেই ক্ষতিপূরন/বিকল্প অপশন দিয়ে জীবনকে এনজয় করতে না পারা জীবনের বড় ব্যর্থতা।
The best way to get even with someone who has left you is to meet someone new and become happy again.
Plotting for revenge and remaining jealous after many years is a formula for endless misery. (Haemin Sunim)
যে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে তার সাথে থাকার সর্বোত্তম উপায় হল নতুন কারো সাথে দেখা করা এবং আবার খুশি হওয়া।
প্রতিশোধের ষড়যন্ত্র করা এবং বহু বছর পর ঈর্ষান্বিত থাকা অন্তহীন দুর্দশার একটি সূত্র। (হাইমিন সুনিম)
মেয়েদের রয়েছে নতুন বেটার অপশন গ্রহন করার মানসিক শক্তি। তাই মেয়েরা পরকীয়া করে। অন্যদিকে ছেলেদের বউকে কুপিয়ে মারার জিদ ও শারীরিক শক্তি আছে। কিন্তু আসক্তি জনিত কারনে অপ্রিয় সঙ্গী ত্যাগ করতে পারে না। আবার নতুন কিছু গ্রহন করার মানসিক শক্তি নেই। তাই বউ পরকীয়া করলে অনেক সময় ডিভোর্স না দিয়ে খুন করে।
নতুন সুখ গ্রহনের মানসিক শক্তি না থাকলে সুখী হবেন কিভাবে? প্রকৃতিতে সবকিছু শুরুতেই পারফেক্ট হয় না। কেন শুরুতেই পারফেক্ট হলো না এটা ভেবে কেবল জিদের বশবর্তী হয়ে খুন হবে।
২) যৌন ঈর্ষা জনিত কারনে তো নারীর সতীত্ব রাখতে গেলো তো “আমারটা বাদে” ফাঁদে পড়বেন। যখন বউ মনমতো হবে না তখন অন্যের বউ ভোগ করতে পারবেন না। মনে রাখবেন প্রকৃতিতে সব পারফেক্ট হয় না।
দ্বিতীয় বিয়ে করবেন তো নারীর সংখ্যা এমনিতেই ৩% কম। গরিব ছেলের অভিশাপ কামাবেন।
আবার আসক্তিজনিত কারনে ১ম বউকে ছাড়তেও পারবেন না। আবার নতুন সুখ গ্রহন করার মানসিক শক্তি না থাকায় নতুন কিছু গ্রহনও করতে পারবেন না। ফলে জিদের বশবর্তী হয়ে নারী নির্যাতন করবেন। আর সমাজে এটাই ঘটছে। চারদিকে সুখ মানুষ যৌন ঈর্ষা আর ভয়ের কারনে সুখ নিতে পারে না।
ধন্যবাদ