বেরোবি প্রতিনিধি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন পুর্নবহাল সহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা তাদের তিনটি দাবি তুলেন।দাবিগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন নাম পুর্ণবহাল,শতভাগ অবাসন ব্যাবস্হা নিশ্চিত পুর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে এ মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে, জাহিদ হাসান জয় বলেন,
“”শিক্ষার্থীদের দের যে গণজোয়ার তাতে বোঝা যায় কেউ এ নামটি চায়না।আমরা পুর্বনাম পুর্নবহাল চাই্।কিন্তু এতে যেন কেউ নারী বিদ্বেষী বলে না খেপান। বেগম রোকেয়াকে আমরা যথেষ্ট সম্মান করি। ফ্যাসিজমের যে শিকার হয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা এটি থেকে মুক্ত হতে চাই “
রাকিব মুরাদ বলেন,”একটি বিভাগীয় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। বিভাগীয় শহরের নামে না হয়ে কীভাবে ব্যক্তির নামে আমাদের প্রশ্ন।যেহেতু নাম পরিবর্তন হয়েছে সেহেতু নাম পুর্ণবহাল করতে সমস্যা কোথায়। আমরা যখন চাকরির ফরম তুলতে যাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নাই। সেখানে নাম আছে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যখন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নামে পরিচয় দেই। তখন মানুষ বলে এ বিশ্ববিদ্যালয় কে চেনেনা।তারারংপুর বিশ্ববিদ্যালয় কে চেনে।তাই এ বিশ্ববিদ্যালয় নাম রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে। “
আশিকুর রহমান বলেন”আমরা প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ফেরত চাই। এ ব্যাপারে এক বিন্দু ছাড় হবে না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা হলে থাকছে না তাদের ভাতা দেয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৮% হলে থাকে আমরা এ বৈষম্য মানিনা।আমরা চাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ অবাসন করতে হবে। সেই সাথে নাম পুর্নবহাল করতে হবে । যদি আমাদের দাবি আদায় না হয়।আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। “
রহমত আলী বলেন,”শিক্ষার্থীরা গণভোটের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীর নাম চাই। যেটি উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্বকারী না। হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাতে নির্ঘুম থেকে তাদের কথা জানান দেন যে,এ ফ্যাসাদের চিহ্ন কুচক্রী নাম রাখবে না। তারা চায় আবাসন সংকট থেকে মুক্তি। অনীতিবিলম্বে এ বিশ্ববিদ্যালয় কে সম্পূর্ণ আবাসিক করতে হবে।এখন আর কোন ষড়যন্ত্রের সুযোগ নাই। শিক্ষার্থীরা সজাগ হয়েছে। নাম পূর্ণবহালের ক্ষেত্রে যদি কোন ষড়যন্ত্র করা হয় তারা তা শক্ত হাতে রুখে দিবে। আমাদের তিন দফার দাবি আপনারা মেনে নিবেন।”
সাজ্জাদুর রহমান
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের