ভারশোঁ ইউপিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া

আলিফ হোসেন,তানোরঃ

রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার ভারশোঁ ইউনিয়নে (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, পাওয়া গেছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য।

জানা গেছে, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নে নির্বাচনের তফশীল ঘোষনার পর থেকে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিজয়ী মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও পরাজিত প্রার্থী আলতাজ উদ্দিনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে থেমে থেমে চলছে হামলা, মারপিট, ভাংচুরসহ একের পর এক সহিংস ঘটনা। এসব ঘটনায় মান্দা থানায় একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি নওগাঁর আদালতে এবং থানায় পৃথক দুটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এদিকে আলতাজ উদ্দিনের দাবী নির্বাচনের সময়ে এবং নির্বাচন পরবর্তীতে বিজয়ী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে তার কর্মী বাহিনীর এসব তান্ডবলীলায় ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুরিয়া, নিচ মহানগর, বাঁকাপুর, ভারশোঁ, দেলুয়াবাড়ী, বালিচসহ বিভিন্ন গ্রামে তার শতাধিক নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বসতঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। এসব কারনে তার অনেক নেতা-কর্মী-সমর্থক প্রাণ ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বেশ কিছু নেতা-কর্মী গুরুতর জখম অবস্থায় মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যদিকে ভারশোঁ ইউপি আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও পর পর দুইবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, তার বিরুদ্ধে আলতাজের করা অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। তিনি বলেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজক্ষুন্ন করতে আলতাজ তার বিরুদ্ধে একের পর এক সহিংসতা ও নানাা অপকর্ম করে এসবের দায় তার ওপর চাপাতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। তিনি বলেন, দলীয় পদ ও নির্বাচনে তার কাছে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়ে আলতাজ মানসিকভাবে হতাশ সেই হতাশা থেকেই তিনি তার ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক এসব মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আসছে। সুমন বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন কে তাকে ভোট দিয়েছেন, আর কে দেননি, সেটা বিবেচ্য নয় দলমত নির্বিশেষ তিনি ভারশোঁর সকল মানুষের জনপ্রতিনিধি এবং তিনি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। ফলে তার বা তার কোনো নেতাকর্মীর দ্বারা সহিংসতা সৃষ্টির প্রশ্নই আসে না।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষনার পরে হোসেনপুর, মুর্শিদপুর,আয়োরপাড়া ও চৌবাড়িয়াহাটে আলতাজ সমর্থকেরা সুমন সমর্থকদের মারপিট করে এমনকি এসব এলাকায় সুমনের প্রচারণা করতে দেয়া হয়নি। তাছাড়া সুমন তো বিজয়ী হয়েছেন তাহলে তার নেতাকর্মীরা কেনো সহিংসতা সৃষ্টি করে বির্তকিত হবেন, বরং একটি চক্র সহিংসতা সৃষ্টি করে সুমনের উপর দায় চাপিয়ে তার নামে কোনো মামলা দিয়ে তার শপথ ঠেকানোর চেষ্টা করছে, যেটা সাধারন মানুষ বুঝে গেছে।#