মোহাম্মদ সোহেল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পাওনা টাকা ও চেক ফেরত দেয়ার কথা বলে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হেদায়েত রুবেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। অভিযুক্ত হেদায়েত রুবেল উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আকালু গ্রামের মৃত আঃ মান্নানের ছেলে। তিনি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ে কর্মরত এবং সম্পর্কে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর চাচাতো ভাসুর।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রুবেল ঐ প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে টাঙ্গাইল পৌরশহরে জমি কিনে দেয়ার কথা বলে নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও চেক নেয়। কিন্তু পরবর্তিতে জমি কিনে দেয়নি সে। এছাড়া টাকা ও চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো কু-প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে টাকা দেয়ার জন্য প্রবাসীর বাড়িতে যায় রুবেল। পরে বাড়িতে কেউ না থাকায় এবং টাকা দেয়ার আস্বাসে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
ওই প্রবাসীর স্ত্রীর শাশুড়ি লাইলী বেগম জানায়, ছেলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতো সেই টাকা রুবেল আত্মসাত করেছে। লাখ লাখ টাকা নিয়ে এখন অস্বীকার করছে। ছেলেও তার বউকে বলেছে টাকা তুলতে না পারলে তার সাথে সংসার করবে না। এলাকার মানুষ স্বাক্ষী হতে চায় না ভয়ে। প্রবাসীর স্ত্রী জানায়, প্রবাস থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা জমিয়ে টাঙ্গাইল শহরে একটা জমি কিনতে ভাসুর রুবেলের কাছে টাকা ও চেক দিয়েছিলাম। কিন্তু সে জমি কিনে দেয়নি। পরে টাকা ও চেক ফেরত চাইলে ফেরত দেয়নি। পরে একদিন টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। পরে ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা গ্রহণ করেনি। পরে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। জানতে চাইলে অভিযুক্ত টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হেদায়েত রুবেল বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তভার দেয়া হয়েছে ডিবিতে। মামলার তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ বলেন, ঘটনাটি তার ব্যক্তিগত। তবে এই বিষয়ে এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
Post Views: 134
Like this:
Like Loading...
Related