ভোলা জেলার কোথায়ও আইনের শাসন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নাই, কেউ-ই আইন মানে না।

ভোলা জেলার কোথায়ও আইনের শাসন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নাই, কেউ-ই আইন মানে না।

মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, বাংলাদেশ খবর, ভোলা, বাংলাদেশ।

ভোলা জেলার কোথায়ও আইনের শাসন নাই ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নাই, কেউ-ই আইন মানে না। আইন প্রয়োগকারীরা আইন প্রয়োগের স্ব-স্ব পেশাকে ও স্ব- স্ব কার্যক্রমকে অবৈধ উপার্জনের ব্যবসা মনে করে। রাষ্ট্রের দেওয়া থানা অফিস, আবাসিক স্থান, পোশাক, অস্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিকে তাদের বেআইনী উপার্জনের ব্যবসায়িক পূঁজি হিসেবে ব্যবহার করে। যখন যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সেই সরকারের নারী ও পুরুষ লোকজনদেরকে তাদের ঐ অবৈধ ও বেআইনী উপার্জনের হাতিয়ারের মত ব্যবহার করে। অন্যদিকে বদলী আতংকে ভোলা জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ পুরো ভোলা জেলার নতুন-পুরাতন প্রতিটি থানার কর্মকর্তাবৃন্দ। এমনকি পুলিশের সদস্য পদের পুলিশও। কি এমন গণভয় তার গভীরতা বিশাল। সবারই চোখে মুখে বদলী আদেশ প্রাপ্তির ভয়। কে কোন থানায় যেতে হবে, কার পোষ্টিং কোথায় হবে এমন দূশ্চিন্তায় সবাই। কথায় আছে চোরের মনে পুলিশ পুলিশ। কিন্তু ভোলা জেলা জুড়ে রয়েছে পুলিশের মনে বদলী বদলী। কি জানি কি অপরাধ প্রবন মানসিকতা নিয়ে ভাবছে যে, শাস্তিমূলক বদলী যেন না হয়। এমন ভাবনা চিন্তা নিয়ে বিরাজমান অফিসিয়াল জল্পনা-কল্পনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশ অধিদপ্তরে খবর নিয়ে জানা যায় যে, ভোলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্পর্কে বদলীজনিত কোন সিদ্ধান্ত তৈরি হয় নাই। তবে গত ২৩/০৬/২০২৪ ই তারিখে পনের জন পুলিশ সুপারের বদলীর স্মারক হয়েছে। তন্মধ্যে এক জন পুলিশ কমিশনার হবেন। বাকী চৌদ্দ জনকে চৌদ্দ জেলায় বিতরন করা হয়েছে। আরো পঁচিশ জন উচ্চ পুলিশ অফিসারকে রাষ্ট্রের রুটিন মাফিক বদলীর আওতার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের আদেশানুযায়ী সংশ্লিষ্ট অফিসিয়াল স্মারক নং প্রস্ত্তত হয়েছে। স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সেই আদেশ কার্যকরের জন্য নিয়োজিত আছে। এহেন ভয়ে, ভোলা জেলায় আইনের শাসন না থাকায়, ভোলা জেলা পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কাছে তা জ্ঞাতও থাকায়, সমগ্র ভোলা জেলার পুলিশ ডিপার্টমেন্ট নিজেদের ব্যর্থতার কবলে পড়েছে। এবং এহেন কারনেই— “কি থেকে কি হয়ে যায়” ভাবেই তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বদলী আতঙ্কে ভূগছে। তবে সত্যই যদি বদলী ঘটে তবে সমগ্র ভোলা জেলার প্রত্যেক পুলিশ অফিসার ও প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের মান (পদবী) বন্টনকে সম্পূর্নরূপে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। এবং ভোলা জেলার প্রতিটি নারী ও পুরুষকে খুব শক্তভাবে সততা ও আইনের আওতায় নিয়ে, প্রত্যেকের জন্য আইনে কি আছে সেই অনূযায়ী জীবন-যাপন করাতে বাধ্য করাতে হবে। এমন ব্যবস্থা করতে পারার পুলিশ অফিসার নিয়োগ ও পুলিশ নিয়োগ করার প্রয়োজনীয় বদলী বা পূর্ন বদলী মঙ্গলজনক হবে। ইহা ব্যতীত পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজির আহম্মেদের মত ঘুষ খাওয়ার ধানাই-পানাই বদলী ভোলা জেলায় আইনের কোন মঙ্গল তৈরি করবে না। কারন ভোলা একটি সন্ত্রাসবাদী জেলা। ভোলা একটি কালো টাকার খনির জেলা। এর চার পাশে রয়েছে বিশাল নদী ও সাগর। ঐ নদী ও সাগরের প্রকান্ড এলাকা ভোলার পাশ্ববর্তী জেলারও। কিন্তু ঐ নদী ও সাগরের প্রকান্ড এলাকা ভোলার লোকেরা ব্যবহার করে প্রচুর অগনিত বেহিসেবি টাকা আয় করে। সেই টাকাগুলোতে হাত বাড়িয়ে দিলেই পুলিশের হাতে প্রচুর অগনিত বেহিসেবি কালো টাকা (ঘুষ টাকা) প্রবেশ করে। প্রচুর অগনিত বেহিসেবি কালো টাকা (ঘুষ টাকা) প্রবেশের অন্যান্য বেআইনী ক্ষেত্রতো ভোলাতে আছেই। তাই বদলী হয়ে ভোলাতে যে আসে সেই-ই প্রচুর অগনিত বেহিসেবি কালো টাকা (ঘুষ টাকা) প্রাপ্তির আশায়- নেশায়-পেশায় প্রতিটি থানার বকশিগনের দিক-নির্দেশনায় সন্ত্রাসবাদী হতে বাধ্য হয়। গত ১৭/০৬/২০২৪ ইং তাং হতে ২৪/০৬/২০২৪ ইং তাং এর মধ্যে মোঃ এনায়েত হোসেন (গোয়েন্দা, মোবাইল নং- ০১৩২০১৫২৪৪১), মোঃ জহিরুল ইসলাম (মনপুরা থানা,মোবাইল নং- ০১৩২০১৫২৩৩৭), ম. এনামূল হক (শশীভূষন থানা, মোবাইল নং- ০১৩২০১৫২৩৬৩), মাকসুদুর রহমান মুরাদ (দুলার হাট থানা, মোবাইল নং- ০১৩২০১৫২৪১৫), সাঈদ আহম্মেদ (দক্ষিন আইচা থানা মোবাইল নং- ০১৩২০১৫২৩৮৯), মোঃ শাখাওয়াত হোসেন (চরফ্যাসন থানা, মোবাইল নং- ০১৩২০১৫২১৬১), মোঃ মাহাবুবুর রহমান (লালমোহন থানা, মোবাইল নং- ০১৩২০১৫২২৮৫), মোঃ আনোয়ার হোসের (তজুমদ্দিন থানা, ০১৩২০১৫২২৩৩), মোঃ শাহিন ফকির (বোরহান উদ্দিন থানা, ০১৩২০১৫২২৫৯), সত্যরঞ্জন খাসকেল (দৌলত খান থানা, মোবাইল নং- ০১৩২০১৫২২০৭), মোঃ মনির হোসেন মিয়া (ভোলা সদর মডেল থানা, মোবাইল নং- ০১৩২০১৫২১৮১) নামীয় একজন অফিসার ইনচার্জকেও সরজমিনে তাদের ভোলা জেলার যথাযত অফিসে ও মোবাইল ফোনে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আর অন্যান্য অফিসারগণের কি অবস্থা তাতো কারো বুঝে ফেলার বাকী-ই নাই। তবে পুলিশি অফিস সূত্রে বেসরকারী খোঁজ-খবরে পাওয়া গেছে যে, ভোলাতে কোন আসামী ধরলেই নাকি তাকে জেল হাজতে দেওয়া যায় না। তার আগেই নেতারা ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। কি পরিমান ঘুষের বিনিময়ে তা হয় তা আসামী ছার করানোর নেতারাই জানে।

Exit mobile version