প্রেস বিজ্ঞপ্তি
নসিবা নুহেরী ফাতেমা নামে এক নারী আবদুল ওয়াদুদ নামে এক উপসচিবের বিচার ও
একই সাথে তার গর্ভের সন্তান হত্যার বিচার দাবী করে ঢাকা রিপোর্টাস
ইউনিটির সাগর রুণী মিলনায়তনে সংবাদ সন্মেলন করেছেন ২৭ মার্চ দুপুর ১ টায়।
সংবাদ সন্মেলনে ইপ সচিব আবদুল ওয়াদুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে
নসিবা নুহেরী ফাতেমা জানান, আমার বলতে লজ্জ্বা হচ্ছে, তবুও বলতে হচ্ছে
আমার পিতা একজন খারাপ চরিত্রের ব্যক্তি। তিনি একাধিক নারীতে আসক্ত এবং
অসংখ্য বিবাহ করেছেন। যার জন্য বিভিন্ন স্থানে তিনি অতীতে হেনস্থার
শিকারও হয়েছিলেন। শুধুমাত্র একজন নারীকে দিয়ে আমার পিতাকে প্রলোভন দেখালে
যে কোন অপকর্ম করা সম্ভব।
আমার পিতা আবদুল্লাহ আল নাসের যেহেতু খারাপ প্রকৃতির মানুষ, তাই তার
রয়েছে অনেক যোগাযোগ। এছাড়াও তিনি যেহেতু আইনজীবি, তার রয়েছে আইন
সম্পর্কেও সাম্যক ধারনা। অন্যদিকে আমি একজন সাধারণ নারী হিসেবে আমার নেই
তেমন কোন অভিজ্ঞতা। ফলে, কার কাছে গেলে বিচার পাব, তার সম্পর্কেও ধারণা
নেই। ক্ষমতাবানদের কাছে আমি অসহায় হয়ে আপনাদের কাছে এসেছি বিচারের দাবী
নিয়ে। আপনারা অনুগ্রহ করে আমাকে সাহায্য করুন।
আমি গত দুই বছর যাবৎ আমার পিতা ও সৎ মাতা কর্তৃক অমানুষিক নির্যাতনের
শিকার হচ্ছি। শুধুমাত্র আমি নই, আমার দুই ভাইও আমার পিতার দ্বারা বার বার
নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমার দুই ভাই আব্দুল্লাহ আল রেজা ও আবদুল্লাহ আল
আবু বকর আমার পিতার অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা, মামলাসহ
অসংখ্য নির্যাতন করে আমার পিতা।
গত ১ বছর আগে ০৩/০২/২০২১ ইং তারিখে আমার ২ মাসের শিশু সন্তানকে অপহরণ
করায় আমার পিতা। পরবর্তীতে আমার স্বামী মোঃ আরিফকে আটক করে জোরপূর্বক
আমার নিকট হতে আমার বাড়ীর হেবা দলীলটি নিয়ে নেয়। তারপরও আমার উপর ও আমার
ভাইদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। যখন তখন আমাদের জীবননাশের
হুমকী দেয়। আমার এক ভাইয়ের চাকরী নষ্ট করার হুমকী দেয় এবং আরেক ভাইয়ের
ব্যবসা নষ্ট করে দেওয়ার হুমকী দেয়। আমাদের উপর একাধিকবার হামলার ঘটনা
ঘটেছে। সব ঘটনায় আমরা মামলা পর্যন্ত করতে পারিনি। পুলিশ আমার বাবার পক্ষে
থাকে সব সময়।
এই অবস্থায় ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে হঠাৎই আব্দুল ওয়াদুদ, আশরাফুল আলম ও
আবদুর রউফ নামে তিন ব্যক্তি এসে দাবী করে আমাদের বাড়ীটি তাদের এবং আমাদের
বাড়ী ছাড়ার জন্য বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতন করে। গত ১৬ /০১/২০২২ তারিখে
সন্ধা আনুমানিক ৬টার সময় আবদুল ওয়াদুদ তার প্রটোকল বাহিনী নিয়ে বাড়ীর
ভিতর প্রবেশ করে এবং আমার ভাইদের উপর অমানুষিক অত্যাচার চালায় ও একই
সাথে আমাদের বাড়ী দখলের অপচেষ্টা চালায়। এই সময় নানা প্রকার হুমকী প্রদান
করে। যার ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। আপনারা চাইলে আমার কাছে থেকে
সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
য়ার ফলে আমরা বাধ্য হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি।
পিটিশন মামলা নং ১২/২০২২ ধারা ফৌ: কা: বিধি ১৪৫ ধারা। যা বর্তমানে বিজ্ঞ
আদালতে বিচারাধীন। একই সাথে একজন সহকারী জর্জ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের
করি। যার ধারা ৩১২/২২ চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মোকাদ্দমা।
উপরোক্ত মামলা ২টি দায়ের করার প্রেক্ষিতে উপরে উল্লেখিত আবদুল ওয়াদুদ
ক্ষীপ্ত হয়ে ১৫-২০জন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের
সহযোগীতায় গত ২৪/০৩/২০২২ তারিখ রাত আনুমানিক ১০টায় আমার বসত বাড়ীতে
অবৈধভাবে প্রবেশ করে আমাকে এলোপাতারী মারধর করে। আমি তখন দেড় মাস বয়সের
সন্তান সম্ভাবা। সন্ত্রাসীদের আক্রমণে আমার দেড় মাসের গর্ভের বাচ্চা নষ্ট
হয়ে যায়। একই সাথে আমার ভাই আবদুল্লাহ আল রেজা, তার স্ত্রী ও মেয়ে
মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর জখমের শিকার হয়। আমরা সকলে গুরুতর আগাতপ্রাপ্ত
হই।পরবর্তীতে এলাকার লোকজন এসে আমাদের সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষা করে
এবং আমাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
ইতিপর্বে আবদুল ওয়াদুদ উপ সচিব পরিচয় দিয়ে হুমকী দিয়ে বলে, আমাদের মাদকসহ
বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের বাড়ী সে দখল করে নিবে।
উপরে উল্লেখিত আবদুল ওয়াদুদ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়ায় বিভিন্ন
মিথ্যা মামলা, হামলা ও হয়রানী করছে আমাদের। আবদুল ওয়াদুদ ক্ষমতাবান হওয়ায়
আমরা তার ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি। আমরা সরকারী ক্ষমতার
অপব্যবহারকারী এই কর্মকর্তার বিচার চাই। এই বিষয়ে আমরা মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি একই সাথে দাবী জানাচ্ছি, যেহেতু
বিষয়টি বিচারাধীন। আমরা বিচার বিভাগের উপর আস্থা রাখি। কোন রায় হওয়ার আগে
পর্যন্ত আমরা শান্তিতে যাতে বসবাস করতে পারি, সেই দাবী জানাচ্ছি।