মহাবীর আলেক্সান্ডার ও বিষকন্যা
গ্রীক মহাবীর আলেক্সান্ডার পারস্যের রাজা দারায়ুস কে পরাজিত করে ভারত সীমান্তে হাজির হলেন। সীমান্তের রাজা আলেকজান্ডার কে অভ্যর্থনা জানালেন ৫ জন সুসজ্জিত তরুণীকে উপঢৌকন হিসেবে। তারা জানতো না তাদের ৫ জনের পঞ্চম কন্যাটি বিষকন্যা। তাদের সাথে আরো ছিল ঘোড়া বিভিন্ন উপহারের ঢালির সাথে পাঁচ সহচর।
পঞ্চম কন্যাটি ছিলো তাদের সকলের মধ্যে আনিন্দ্য সুন্দরী, তাই স্বাভাবিকভাবেই আলেকজান্ডারের নজর পড়লো সেই বিষকন্যার উপরে। তিনি লুব্ধ দৃষ্টিতে সেই নারীর দিকে এগিয়ে গেলেন। সেই আসলে তখন স্বয়ং আলেকজান্ডারের শিক্ষক এরিস্টটল উপস্থিত। সক্রেটিস বহুদর্শী প্রাজ্ঞ। তিনি আলেকজান্ডার কে আত্মসংবরণ করতে বললেন। আলেকজান্ডার তখন থমকে দাঁড়ালেন, এরিস্টটল তখন বললে এই রূপসী কন্যাটি আসলে ঘাতিনী, সে বিষকন্যা। আর সে কথা প্রমান করার জন্য এরিস্টটল দুজন দাসকে কাছে ডাকলেন। এবং তাদের আদেশ করলেন সেই রূপসী নারীকে চুম্বন করতে, আর সাথে সাথেই সেই দাসদের মৃতদেহ লুটিয়ে পড়লো মাটিতে।
এরপর এরিস্টটল ঘোড়া, কুকুর ও অন্যান্য প্রাণীর উপরেও বিষকণ্যার পরীক্ষা করলেন। আর সাথে সাথে তাদেরও মৃত্যু হলো। সেই মুহূর্তে আলেকজান্ডার নিজের তলোয়ার তুলে সেই বিষকন্যা কে দু টুকরো করে ফেলেন, এবং তার আদেশে সেই বিষকন্যা কে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলা হয়।
এই ঘটনার কথা সেই সময় থেকে ভারত থেকে শুরু করে পুরো বিশ্বে মানুষের মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে।