মিয়ানমারসংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়,
বুধবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই
পক্ষের গোলাগুলিতে অন্তত একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন এবং একজন আহত হয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে সীমান্তের একাধিক
সূত্র দাবি করেছে, গোলাগুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশকিছু ঘরে
আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে অনেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে
গেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
গত বছর সেপ্টেম্বরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা মর্টার শেল বাংলাদেশের
ভূখণ্ডে এসে পড়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া তখনও ঘটেছিল গোলাবর্ষণের ঘটনা। এতে
সীমান্তজুড়ে বিরাজ করছিল থমথমে অবস্থা। সেসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে
কয়েকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে সতর্ক করা হয়েছিল। এরপর পরিস্থিতি কিছুদিন দৃশ্যত
শান্ত ছিল। এখন আবারও সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা কীসের ইঙ্গিতবাহী?
শূন্যরেখার একজন রোহিঙ্গা নেতা জানিয়েছেন, বুধবার গোলাগুলি হয়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের
(আরএসও) দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে। অর্থাৎ বিষয়টি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ সংঘাতে
বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়তে পারে না। তবে এ প্রশ্নও সংগত যে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধাবস্থার
খেসারত কেন দিতে হবে বাংলাদেশকে?
হতে পারে, এটি মিয়ানমারের একটি ফাঁদ। তারা বাংলাদেশকে এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার জন্য উসকানি
দিচ্ছে। জড়িয়ে পড়লেই মিয়ানমারে বসবাসরত বাকি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে। হতে পারে,
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেটাই চাচ্ছে। তারা এ ধরনের কোনো ফাঁদ পেতে থাকলে এবং তাতে আমরা পা
দিলে সেটা আমাদের জন্য নেতিবাচক ফল বয়ে আনবে। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আমরা মনে করি, শান্তিপূর্ণ তথা কূটনৈতিক পন্থাতেই এ সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। সেটি যেমন
মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে, তেমনি জাতিসংঘের কাছে সহায়তা
চাওয়ার মাধ্যমেও হতে পারে। এছাড়া মধ্যস্থতার জন্য বৃহৎ শক্তিগুলোর কাছে সহায়তাও চাইতে পারি
আমরা। এ ব্যাপারে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা প্রয়োজন।
(ভারতের ' দি পলিসি টাইমস; থিঙ্ক ট্যাংক জার্নাল থেকে অনুবাদ: মেহজাবিন বানু)
সূত্র: https://thepolicytimes.com/myanmar-and-bangladesh-need-to-adopt-
a-peaceful-border-solution-strategy/
এইচআরডব্লিউ পুলিশকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নির্দেশ রাজনৈতিক নেতৃত্বই দিয়েছিল
ঢাকা: ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনে পুলিশকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নির্দেশ সরাসরি রাজনৈতিক নেতৃত্বই দিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিশ্বের অন্যতম স্বনামধন্য মানবাধিকার সংগঠন...