১) জি। ভুলে যায় এটিই সঠিক রাস্তা। মেয়েদের রয়েছে নতুন কিছু গ্রহন করার মানসিক শক্তি। তাই ভালো ঘর পেলে এবং সাবেক স্বামী অত্যাচার করলে পরকীয়া করার চেষ্টা করে।
যেহেতু ছেলেদের আকর্ষন ও আসক্তি বেশি সেহেতু ছেলেদের জিদও বেশি। তাই মেয়েরা পরকীয়া করলে ছেলেরা অনেক সময় ডিভোর্স না দিয়ে খুন করে।
অন্যদিকে মেয়েদের সংসারে আসক্তি বা জিদ সবই কম। বেটার অপশন পেলে নতুন সংসারে চলে যাওয়ার চিন্তা করে। মেয়েলি ভাবনায় জানতে পারে না তার সাবেক অত্যাচারী স্বামী সংসারে এতোটা আসক্ত।
মানে ছেলেরা বউকে অত্যাচার করবে ঠিকই। কিন্তু আসক্তি জনিত কারনে বউকে তালাক দিয়ে নতুন সংসার শুরু করার মানসিক শক্তি ছেলেদের নেই। তাই ছেলেরা সারাবছর তালাক তালাক কবিতা শুনাবে। অথচ যখনই নারী এ অবস্থা থেকে বাঁচতে পরকীয়া করে অন্য ছেলের হাত ধরে চলে যেতে চাইবে তখনই বউকে কুপিয়ে মারবে।
ছেলেদের বউকে কুপিয়ে মারার জিদ ও শারীরিক শক্তি আছে। কিন্তু আসক্তি জনিত কারনে নতুন কিছু গ্রহন করার মানসিক শক্তি নেই।
আসক্তি জিদের জন্ম দেয়। জিদ খুব বোকামি। জিদের কারনে মানুষ নতুন বেটার অপশন গ্রহন করে না। ছেলেরা বলতে থাকে আমার ঐটাই লাগবে।
ছেলেরা কখনো মেয়েদের মতো সুখী হতে পারবে না। কারন ছেলেরা কঠোর। ফলে মেনে নিতে পারে না। মানিয়ে নিতে পারে না। জীবন যেহেতু পারফেক্ট নয় সেহেতু মেনে নেওয়া ও মানিয়ে নেওয়ার অনুশীলন ছাড়া সুখী হওয়া সম্ভব নয়। ছেলেরা কেবল নিজের জিদের বলি হবে।
২) প্রকৃতির হাতে তৈরি সব মেয়ে পারফেক্ট হবে না। ছেলেরা এটা মেনে নিতে পারে না। আবার আবেগের সংযুক্তি ও আসক্তি বেশি থাকায় তালাক দিয়ে নতুন সংসারও শুরু করতে পারে না।
তাই তো মেয়েরা পরকীয়া করলে ছেলেরা ডিভোর্স না দিয়ে খুন করে।
খাইরুল সুন্দরী সিনেমায় মৌসুমী বিকল্প সমাধান দিতে । কিন্তু ফেরদৌস একগুয়ে হয়ে কোনটাই মেনে নেয় নি। মৌসুমিকে হত্যা করে।
The best way to get even with someone who has left you is to meet someone new and become happy again.
Plotting for revenge and remaining jealous after many years is a formula for endless misery. (Haemin Sunim)
যে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে তার সাথে থাকার সর্বোত্তম উপায় হল নতুন কারো সাথে দেখা করা এবং আবার খুশি হওয়া।
প্রতিশোধের ষড়যন্ত্র করা এবং বহু বছর পর ঈর্ষান্বিত থাকা অন্তহীন দুর্দশার একটি সূত্র। (হাইমিন সুনিম)
ছেলেরা সাধারনত বিকল্প গ্রহন না করে প্রতিশোধ পরায়ন ও জেদী হয়ে পড়ে। এবং ভাবতে থাকে কেন শুরুতেই পারফেক্ট হলো না? এটা প্রাকৃতিক আচরন নয়। এটা জিদ।
প্রকৃতিতে সবকিছু পারফেক্ট/মন মতো হয় না। ক্ষতিপূরন মেনে না নেওয়া জিদ। কেন শুরুতেই পারফেক্ট হলো না। এটা ভেবে জিদ করে বসে থাকা এবং একটার বদলে তিনটি দিলেও গ্রহন না করা জিদ ও একগুঁয়ে আচরন। ফলে আপনি নিজেই নিজের জিদের বলি হবেন। জীবনে সুখ পাবেন না।
তাছাড়া যে বিকল্প অপশন অফার করেছে সে তো অলরেডি ক্ষতিপূরন দিচ্ছে। আমাদের উচিত বিকল্প অপশনকে এনজয় করা।
জিদ ও আসক্তিজনিত কারনে ক্ষতিপূরন মেনে না নেওয়া। এবং সেই ক্ষতিপূরন দিয়ে জীবনকে এনজয় করতে না পারা জীবনের বড় ব্যর্থতা।
মেয়েরা পরকীয়া করে কারন মেয়েরা ছেলেদের মতো সবকিছুকে এতো কঠিন করে ভাবে না। মেয়েরা পরকীয়া করলে ছেলেরা ডিভোর্স না দিয়ে খুন করবে এটা জানলে পরকিয়া করতো না। মেয়েরা মেয়েলি সরল ভাবনায় পুরুষের সহিংসতা অনুমান করতে পারে না।
খাইরুল সুন্দরী : আমার একটা হাত কেটেছো। এটাকে শাড়ির আঁচলের নীচে লুকিয়ে রেখে তোমার সেবা করবো। তবুও আমাকে মাইরো না। তুমি চাইলে আরো বিয়ে করো। নারী নিয়ে ফুর্তি করো।
ফেরদৌস: তুই আমাকে অন্তরে যে আগুন লাগাইছস। তরে না মারলে আমার বুকের আগুন দূর হইবে না।
কেন শুরুতেই পারফেক্ট হলো না। এটা ভেবে ছেলেরা একটার বদলে তিনটি বিকল্প দিতে চাইলেও মেনে নিতে চায় না। একগুয়েমি করে ও জিদ ধরে সহিংসতা ঘটায়।
আরে ভাই, প্রকৃতিতে সব পারফেক্ট/মনমতো হয় না। বিকল্প অপশন গ্রহন না করে জিদ বজায় রাখলে দুখ/সহিংসতা ছাড়া কিছু অবশিষ্ট থাকে না।
যে বিকল্প অপশন অফার করেছে সে তো অলরেডি ক্ষতিপূরন দিচ্ছে। তাই বিকল্প অপশনকে এনজয় করেন।প্রকৃতিকে মেনে নেন।
মেয়েরা বুক দিয়ে আসক্ত করে। আর ছেলেরা মাথা দিয়ে আসক্ত হয়। ফলে আসক্ত হলে মাথা থাকে না। মাথা না থাকলে নিজের স্বার্থ বাস্তবায়ন করবেন কেমনে আর পৃথিবীকে উপভোগ করবেন কেমনে? সুখ পাবেন কেমনে?
Do not lose your grip on the reins of your own life (Haemin Sunim)
আপনার নিজের জীবনের লাগামের উপর আপনার আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা হারাবেন না
অহিংস নীতি হলো বর্জন নীতি। কেননা অপ্রিয় বস্তু বর্জন না করলে তা সংঘাতে জড়াবে।
মেডিটেশন ভিত্তিক ধর্মগুলি ধর্ম মন শক্ত করার শিক্ষা দেয়। বর্জন করে চলে গেলে উভয় পক্ষের সাময়িক কষ্ট হয় বটে।
চোখের আড়াল। মনের আড়াল। কেউ ছেড়ে চলে গেলে একসময় মানুষ দুখ গুলি ভুলে যায় বা হালকা হয়ে আসে। আপনার বর্জন করার কারনে কেউ মারা যাচ্ছে না। উল্টো সময়ের সাথে দুখ ভুলে গিয়ে উভয়পক্ষ সুখী হয়।
কিন্তু বর্জন না করে নগদ মারামারি, কোপাকুপি ও খুন করলে ইহা পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। তাই কোপাকুপি করে মারার চেয়ে বর্জন করা ভালো।