বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর বনানী থানাধীন প্রতিটি পাড়ামহল্লার অলিগলিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। সমাজের উঠতি বয়সের ছেলেরা যেমন এ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে তেমনি স্কুল ও কলেজগামী ছাত্ররাও ইয়াবার নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। অথচ ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বনানী থানা পুলিশের সোর্স গোডাউন বস্তির শহীদ ও তার সহযোগি ওয়্যারলেস গেইট এলাকায় ড্রাইভার কাশেম, মহাখালী মধ্যপাড়ার শরিফ, মহাখালী পুরাতন বাজার এলাকায় মানিকসহ আরো কয়েকজন মিলে মাদকের এক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চুরি, দেহ ব্যবসা, চাঁদাবাজি ব্ল্যাকমেইল, অপহরন সহ এমন কোন হীন অপরাধের ঘটনা নেই যে এই সিন্ডিকেট করেনি, কিন্তু শত অপরাধ করেও তারা এখনো পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
বনানী থানাধীন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে তারা ইয়াবা কারবারের কথা জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, এলাকাভিত্তিক সরকারদলীয় কিছু সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দিচ্ছে। থানা পুলিশও এদের বিরুদ্ধে নিচ্ছে না কোনো আইনগত ব্যবস্থা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মাদক কারবারির কাছ থেকে মাসোয়ারা পাওয়ার কারণে পুলিশ এদের গ্রেফতার করছে না। তবে যাদের কাছ থেকে পুলিশ মাসোয়ারা পাচ্ছে না কেবল তাদেরকে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ আটক করছে বলে এলাকাবাসী জানান।
মহাখালী মধ্যপাড়ায় শরিফের বিল্ডিংয়ে চলে ইয়াবা, গাঁজা কেনাবেচা ও সেবন। ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের পাশে ভ্রাম্যমাণভাবে ইয়াবা ব্যবসা করে বুলুর ড্রাইভার কাশেম। সন্ধ্যার পর কাউন্সিলর কার্যালয়ের আশপাশে ইয়াবা সেবনকারীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এদিকে পাঠাও চালকের ছদ্দবেশে হোমডেলিভারিতে ইয়াবা ব্যবসা করছে মহাখালী পুরাতন বাজারের মানিক। ফোন করলেই ইয়াবা পৌঁছে দেয় ঘরে। এদের সকলের মাদক ব্যবসার মহাজন বনানী থানা পুলিশের সোর্স শহীদ। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহীদের ঘরে চলে জুয়া খেলা, মাদক কেনাবেচা ও সেবন। পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় শহীদ রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।