আলিফ হোসেন,তানোর
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৬ নম্বর মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিক নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন ইউপি আওয়ামী লীগের সম্পাদক, আদর্শিক ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন তরুণ নেতৃত্ব জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট। এদিকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিতর্কিত নেতৃত্ব আব্দুল লতিফ নৌকার বিজয় ঠেকাতে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সম্ভবনাময় গোছানো ভোটের মাঠ নষ্টে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তৃণমুলের। তৃণমুলের ভাষ্য, মাড়িয়া ইউপি আওয়ামী লীগের মুলধারা বা আদর্শিক নেতা এবং কর্মী-সমর্থকেরা লতিফকে বিশ্ববেঈমান ও গণদুশমন আঙ্খা দিয়ে তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে।
জানা গেছে, মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পরীক্ষিত নেতৃত্ব ইউপি আওয়ামী লীগের সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট। অথচ সম্রাটের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কথিত সংবাদ সম্মেলন করে আব্দুল লতিফ সাবেক এমপি ও জেলার সম্পাদক জনন্দিত নেতা আব্দুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে। অন্যদিকে কথিত সংবাদ সম্মেলন
ও প্রতিবাদ সভা নিয়ে জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, নৌকার মালিক কোনো মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান বা অন্যকেউ নয় নৌকার মালিক বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মনোনয়ন বোর্ড দলীয় মনোনয়ন দেন। আওয়ামী লীগ দেশের সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার মতো এই দলে অনেক যোগ্য নেতা রয়েছে, তবে মনোনয়ন তো পাবেন একজন। এদিকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে যে কেউ দলের নীতিনির্ধারক মহলের কাছে আবেদন-নিবেদন বা অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্ত্ত মনোনয়ন বাতিলের দাবি করে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সভা বা সংবাদ সম্মেলন করা এক বিষয় নয়। তায় যারা এসব করেছে তারা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মনোনয়ন বোর্ড, দলের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই করেছে। কারণ দলের তো একটা সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। তায় এদের বিরুদ্ধে এখানোই সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে,যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন দুঃসাহস দেখাতে সাহস না পাই। কেননা তাদের এসব অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে যদি মনোনয়নের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয় তাহলে, মনোনয়ন বঞ্চিত অন্যরাও উৎসাহিত হবে। আর সেটা হলে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়বে দেখা দিবে বিশৃঋলা। এদিকে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বলছে, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অবমাননা তাই তারা আব্দুল লতিফকে দল থেকে বহিস্কারের পাশাপাশী তার মদদদাতাদের
শাস্তির দাবি করেছে।#