রাজশাহী অঞ্চলে একশ্রেণীর হিমাগার মালিকের কাছে অধিকাংশক্ষেত্রে আলুচাষিরা প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে
বলে অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ আবার আলুর গুদামকে (কোল্ডস্টোর) এখন প্রতারণার বড় ফাঁদ বলে অভিহিত করেছে। স্থানীয় আলুচাষিদের অভিযোগ, একশ্রেণীর হিমাগার মালিক দ্বিগুণ লাভের আশায় বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে তাদের খুশিমত দালাল সিন্ডিকেট চক্র সৃৃৃৃষ্টি ও লালন-পালন করছে। অধিকাংশক্ষেত্রে সাধারণ কৃষক টিকিট দিয়েও আলু ফেরৎ পায় না এমন ঘটনাও অহরহ ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসবক্ষেত্রে
কোল্ডস্টোরের মালিক পক্ষ বলে একাউন্ট তো এজেন্টের নামে, তাই এজেন্টের সামনেই কৃষককে বলে আপনাকে আমরা চিনি না। তখন অসহায় হয়ে কৃষক কাঁদে আর
টাকার অহংকারে তখন এজেন্টও হাসে, মালিকও হাসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষকেরা জানান, তারা সাধারণ গরিব কৃষক অত সব টাকা ধরা ফাঁদ কি আর চিনেন ? হাড়ভাংগা পরিশ্রমের পর যেই যৎসামান্য জমিতে আলু উৎপাদন করছি, কিছু স্টোর মালিকরা কথিত এজেন্ট-দালালদের মাধ্যমে ঠান্ডা ঘরে বসে, ইংরেজদের মতো সাধারণ কৃষককে নীলচাষী বানিয়ে তারা নিষ্ঠুর হৃদয়ে যখন ঋণের টাকার পরিবর্তে দালাল-এজেন্টদের হিসাব থেকে কুটকৌশলে কৃষকের সব আলু কেটে নিচ্ছে, তখন আমাদের মত প্রান্তিক অসহায় চাষীদের সব আলু হারিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কি বা করার থাকে ভাই ?
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইদানিং প্রতারকেরাই সগৌরবে প্রসংশিত হচ্ছে দয়াময়।আবার কেউ ভালোর আশায় কোথাও গিয়ে প্রতারকের হাতে ঠকলে একশ্রেণীর মানুষের মুখে হাসির খই ফুটে বীনা আগুনে আজকাল। ছিঃ ছিঃ এটা মানবতার জন্য কত বড় লজ্জার। সেটা মানুষ কেমন করে দিব্বি ভুলে যাচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত, মানুষ হয়ে মানুষকে ঠকানোর জন্যই কি দয়াময় মানুষকে তার এই মহা ইন্দ্রয়শক্তি দান করেছেন ? তাও যদি এই মানুষ অমর হতো,সে কথা না হয় সওয়া যেতো। সে তো আদৌ জানে না মৃত্য তাকে কখন খতম করবে তার অদৃশ্য ভয়ংকর আঘাতে ? এই দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা হৃদয় নিয়ে কি করে পরম পবিত্র মহিমায় দয়াময়ের সামনে তারা দাঁড়াবে? ভাবতেই যেন হৃদয় আঁতকে মহাভূমিকম্পে, প্রেমময় যার পায়ে নিঃষ্পাপ ফেরেস্তারা চুমু খায়, সেই আদম সন্তানেরা এত নীচে নামে কী করে,করুণাময় ? বলো, কী এ নিকষ আঁধার ? স্থানীয় সুত্র জানায়, একশ্রেণীর কোল্ডস্টোর মালিক কথিত ঋণের নামে সাধারণ কৃষকের কাছে থেকে ব্যাংক চেকের ফাঁকা পাতা ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে কৃষকের স্বাক্ষর নিয়ে কৃষকদের রীতিমতো শোষণ করছে। কিন্ত্ত কোল্ড স্টোরগুলোতে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নাই। সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকেরা আলু উত্তোলনের মৌসুমে কোল্ড স্টোরগুলোতে নিয়মিত প্রশাসনের ভ্রাম্যমান অভিযান ও কথিত এজেন্ট-দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উধর্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ কৃষকেরা। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো কোল্ডস্টোরের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।#