লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসার দায়ে শহরস্থ নোভা ট্রমা সেন্টার ও জেনারেল হাসপাতাল এবং ডাক্তার অনুপ মোস্তফার নামে ২২ আগস্ট জেলা সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর ছেলে মো: আনোয়ার হোসেন রুবেল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুবেল তার বাবার কোমর ব্যাথার সমস্যা নিয়ে গত ২১ জুলাই নোভা ট্রমা সেন্টার ও জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার অনুপ মোস্তফার কাছে চিকিৎসার জন্য যান এবং আগেই বলে রাখেন যে তার বাবার ২০১৪ সালে ওপেন হার্ট সার্জারী হয়েছিলো। কোমরের সমস্যার কথা শুনে ETORIX-90mg সহ আরো কিছু ঔষধ খেতে দেয়।কিছু খাওয়ার পরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুমূর্ষু অবস্থায় ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে এবং পরে গুলশানের ইউনাইটেড হসপিটালে ভর্তি এবং চিকিৎসার পর গত ১০ আগস্ট বাড়িতে নিয়ে আসেন।
কিন্তু ঐ দুই হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী ETORIX-90mg নামের ঔষধ খাওয়ার কারনেই তাদের বাবা মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছিল বলে জানান তারা।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, এ বিষয়ে গত ১৮ আগস্ট নোভা ট্রমা হাসপাতালে রুবেল ও তার দুই ভাই কিছু গণমাধ্যমকর্মী সহ ডাক্তারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে এক পর্যায়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার সালমা চৌধুরীর নেতৃত্বে চেয়ারম্যান জহির, বাবুল সহ ১০-১৫ স্টাপ সবাইকে হেনস্তা করে এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি বাড়াবাড়ি করলে চাঁদাবাজির মামলা সহ অন্যান্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসতেছে। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এতে জেলা সিভিল সার্জনের কাছে শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ক্ষতিপূরণ সহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তারা।
এ বিষয়ে ডা: অনুপ মোস্তফার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমা চৌধুরী বলেন,ডা: অনুপ মোস্তফা ভুল চিকিৎসা করলে উনি দায়ভার নিবে হাসপাতালে কেনো.?সেদিন কি হয়েছিল সেটি সিসি টিভি ফুটেজ দেখলেই হবে। আমরা মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করিনি তবে তাদের সাথে আমাদের বাকবিতন্ডা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা: আহম্মদ কবীর বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উক্ত বিষয় সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।