প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সংগঠনের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, দেশে শতকরা ৮০ জন বিবাহিত পুরুষ নির্যাতিত, পুরুষ নির্যাতন দমন আইনের দাবিতে বিগত দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছি। জেলা প্রশাসক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতিকেও স্মারকলিপি দিয়েছি কিন্তু কোন ফলাফল পাইনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। তাই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে পুরুষ নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন করার দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে পুরুষ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। পুরুষরাও মানুষ। পুরুষরাও এদেশের নাগরিক। পুরুষেরও অধিকার আছে। কিন্তু কার কাছে এই অধিকারের কথা বলবে? পুরুষের নীরব কান্না শোনার মতো পুরুষ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও নাই। এমনকি অধিদপ্তর বা পরিদপ্তরও নাই। সেজন্য নীরবে কাঁদছে পুরুষ দেখার কেউ নেই। প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। অনেকে কান্নাকাটি করে, কিন্তু আমরা কি করতে পারি? আইনতো আমাদের পক্ষে না। তাই আজ বাংলাদেশের পুরুষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সেই সাথে মানবাধিকার লঙ্ঘনের আংশিক চিত্র তুলে ধরলাম। ১। দুষ্টু নারীরা বিয়ের নামে কাবিনের ব্যবসা করে নিরীহ পুরুষদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার আয়াত নং ২২৯ অনুসারে যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে মুক্ত হতে চান, তবে কোন কিছুর বিনিময়ে হতে হবে, যা তার মোহরানার অতিরিক্ত হবে না। ২। দন্ডবিধি ৪৯৭ ধারায় একই অপরাধে পুরুষের পাঁচ বৎসর জেল এবং জরিমানা কিন্তু নারীর দায়মুক্তি। এতে করে নারীরা পরকীয়ার প্রতি উৎসাহিত হচ্ছে। অনেক নারীকে বলতে শুনি প্রেমের মজা পরকীয়ায়। তারা মজা নিবে অথচ শাস্তি পাবে না। ৩। পরকীয়া আসক্ত ও অবাধ্য স্ত্রীকে শাসন করতে গেলে স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দিয়ে হাজতে পাঠিয়ে দিচ্ছে, অথচ স্বামীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। ৪। বিবাহ বিচ্ছেদের পর সন্তানের ভরন-পোষণ পিতাকেই বহন করতে হয় অথচ সন্তানের ভালোবাসা হতে পিতাকে বঞ্চিত করা হয়। ৫। পরকীয়া আসক্তি স্ত্রী স্বামীকে সর্বশান্ত করে চলে গেলেও স্বামী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ৬। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে নারী ও পুরুষ এর সমান অধিকারের কথা বলা হলেও নারী নির্যাতন দমন আইন আছে, কিন্তু পুরুষ নির্যাতন দমন আইন নেই। ৭। নারী নির্যাতন মামলা ৮০ ভাগই মিথ্যা, তাহলে ২০ জন ভিকটিম নারীর জন্য ৮০ জন নিরীহ পুরুষ মিথ্যা মামলার শিকার হবে কেন? এত অল্প পরিসরে পুরুষ মানবাধিকার লঙ্ঘনে সবচিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয়। এর প্রতিকার কি? বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে। বাংলাদেশ পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশন সব সময় নির্যাতিত পুরুষ ভাইদের সাথে ছিল, আছে, থাকবে এবং সব সময় নির্যাতিত ভাইদের সব ধরণের সহযোগিতা করবে।