রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৫)
১। অনর্থক কাজ পরিহার করা (টিভি, মোবাইল ইত্যাদিতে সময় নষ্ট না করা)। (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৩)
২। ইবাদতে প্রফুল্লতার জন্য আরামদায়ক পোশাক পরা।
৪। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা। (বুখারি, হাদিস : ৪৯৯৭)
৫। বেশি বেশি নফল ও হাজতের নামাজ পড়া। (বুখারি, হাদিস : ১৯০১)
৬। দোয়া ও জিকিরে মগ্ন থাকা। নবীজি (সা.) আয়েশা (রা.)-কে কদরের রাতে পড়ার জন্য একটি দোয়া শিখিয়েছেন। তা হলো- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)
এ ছাড়া নিম্নবর্ণিত জিকিরগুলো করা যেতে পারে।
(১) সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার। (১০০ বার)
(২) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। (২০০ বার)
(৪) বেশি বেশি দরুদ পড়া।
(৫) সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (কমপক্ষে ১০০ বার)
(৬) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির।’ (কমপক্ষে ১০০ বার)
৭) দোয়া ইউনুস। (যত পারা যায়)
(৯) ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ বেশি বেশি পড়তে পারেন।
(১০) সুরা ইখলাস যত বেশি পড়া যায়।
(১১) সাইয়েদুল ইসতিগফার পাঠ করা। ইসতিগফার জাতীয় আমলগুলো রাতের শেষ ভাগে করা যেতে পারে। (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৮)
৬। লম্বা রুকু-সিজদাসহ তাহাজ্জুদ পড়া। সম্ভব হলে সিজদায় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পড়া। (সুরা : জুমার, আয়াত : ৯; নাসায়ি, হাদিস : ২২০২)
৭। সাহরি খাওয়ার আগে মহান আল্লাহর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে দোয়া করা। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৬৭; নাসায়ি, হাদিস : ৩১০৮)
৯। সাহরি খাওয়া। (নাসায়ি, হাদিস : ২১৪৮)
১০। ফজরের নামাজ পড়া।