শহীদুল ইসলাম শরীফ, স্টাফ রিপোর্টার
স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মোহনীয় সৌন্দর্যে ঢাকা গ্রামের চিত্র। গ্রামের সেই আঁকাবাঁকা রাস্তায়, সবুজ ক্ষেতের আল ধরে, চোখ আর্দ্র হয়ে আসে। তাইতো অন্তর কেঁদে উঠলেও গ্রামের কথা, কোথাও বলতে পারলে মনে আসে তৃপ্তি। সবুজ ধানক্ষেত, নানান ফুলের সমাহার, নদী, খাল, বিল, পাহাড়, বন, এই সবই গ্রামীণ প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের দেশের বেশির ভাগ স্থানজুড়ে সবুজে শ্যামলে ভরা। যে কোন মানুষের হৃদয়কে প্রশান্তিতে ভরে দেয় গ্রামের সবুজ প্রকৃতি। মানুষের সকল ক্লান্তি দূর করে গ্রামের শান্ত পরিবেশ। গ্রামের মানুষ মন খুলে কথা বলে। গ্রামই বাংলাদেশের প্রাণ। তাইতো শহরের মানুষ কাজের ফাঁকে সময় পেলেই দৌড়ে যায় কোন এক নিরিবিলি পরিবেশে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। এখন গ্রামের প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতা, শহর কেন্দ্রিক মানুষদের প্রশান্তি প্রদান করে। মনের আনন্দ অনুভূতি জাগিয়ে তোলে গ্রামীণ পরিবেশের শান্তি ও সরলতা। গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায় তাদের কথার সরলতা। যেন মনে হবে কত দিনের পরিচয়।
গ্রামীণ এলাকাগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। কৃষির ওপর নির্ভরশীল এই গ্রামগুলো আমাদের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে। তবে শুধু অর্থনৈতিক দিকেই নয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ঐতিহ্য ধারে রাখার ক্ষেত্রেও গ্রামগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। এখানে পরিবারগুলো একে অপরের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখে, যা শহরের তুলনায় অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং বন্ধুসুলভ।
তবে গ্রামে এখন গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও পার্ক। তেমনি দোহার উপজেলার জয় পাড়া বাজারের কাছে দীঘিরপাড় নামক স্থানে একটি পার্ক। পার্কে রয়েছে শিশুদের খেলাধুলার উপকরণ, রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম মিনি জলপ্রপাত অ্যাকুরিয়াম। পার্কের ২০০ টাকা প্রবেশ ফি, এর সাথে দেয়া হয় একটি বার্গার ও একটি সেভেন আপ। এ পার্কের সাথেই রয়েছে ‘ওলিভ এন্ড ফিগ’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট। এর ভেতরে লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়েছে। যা সচরাচর অন্য কোনও দেখা যায় না। লাইব্রেরিতে বিভিন্ন ধরনের বই রাখা হয়েছে। আগত লোকদের বসে বই পড়ার সুযোগ রয়েছে। তাড়া ছাড়া কিডস জোনে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে। রয়েছ শিশু বই। একটি বিল্ডিং এর গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে ফার্নিচারের দোকান, উপরে এ রেস্টুরেন্ট। পার্ক সহ রেস্টুরেন্ট ও ফার্নিচার দোকান একই মালিকানাধীন।