০২-০৪-২০২২
রাজনৈতিক পতপার্থক্য থাকারপরও একথাটি বলতে হবে শ্রমিক শ্রেনীর অধিকার আদায়ে আজীবন লড়াই করেছেন আলমগীর মজুমদার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার এমপি।
তিনি বলেন, শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দলমত ভুলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই বলেই মনে করতে মজুমদার। আর সেই লক্ষেই কাজ করতেন।
শনিবার (২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, জাতীয় রাজনীতিবিদ আলমগীর মজুমদার স্মরণে “নাগরিক শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মানে শেষ জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির সংগ্রাম যতদিন চলবে ততদিন আলমগীর মজুমদার বেচে থাকবেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বাংলাদেশে যুগের পর যুগ ধরে শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত শোষিত হচ্ছে মালিকদের দ্বারা। শ্রমিকের ওপর চলা শত শত শোষণ বঞ্চনা দেখার পরও রাষ্ট্র নিশ্চুপ রয়ে যায়। শ্রমিক নেতারা বিক্রি হয়ে যায়। সেখানে আলমগীর মজুমদারের মত শ্রমিক নেতার সংখ্যা খুবই বিরল। যিনি সততার সাথে শ্রমিক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে গেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিরা মালিকপক্ষের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে নিশ্চুপ থেকে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার অস্বীকার করছে। এই অবস্থা শ্রমিকদের পরিত্রানের জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।
নাগরিক শোক সভা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার এমপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, পুলিশের সাবে অতিরিক্ত আইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসেন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টি মহাসচিব এএফ এম ফয়েজ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসিন ভুইয়া, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন সাধারন সম্পাদক জয়নাল আবেদিন জনি-সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।