আন্তর্জাতিক বেসরকারী একটি সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্স (ডব্লিউএইচএ ) যা বিশ্বের ৮৪টি দেশের ২৪৯ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি বিশ্বব্যাপি ভাইরাল হেপাটাইটিস নির্মূল ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এবার আন্তর্জাতিক সেই সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বোর্ড সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের সফল লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট রোগী রিয়াজুল ইসলাম।
জানা গেছে, পটুয়াখালীর গলাচিপায় কলেজ শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম। ২০০১ সালে তার হেপাটাইটিস ‘বি’ ধরা পরে। এরপর ২০০৯ সালে লিভার সিরেসিসে আক্রান্ত হন। ২০১১ সালের ৬ আগস্ট ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের হেপাটো-বিলিয়ারি-প্যানক্রিয়ে
ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সদস্য হবার পর তিনি ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্স, জেনেভার সাউথ-ইস্ট এশিয়া রিজিওনের ‘রিজিওনাল বোর্ড মেম্বার’ পদে নির্বাচনে নমিনেশন পান এবং পরে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সাউথ-ইস্টএশিয়া রিজিওনের ২৮টি সদস্য সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি-১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্সের প্রথম বার্ষিক বোর্ড সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্স এর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বোর্ড সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
২০১১ সালে হেপাটাইটিস বি-এর কারণে মৃত্যুর সংঙ্কায় ছিলেন রিয়াজুল ইসলাম। এরপর তার সফল লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় বারেডম হাসপাতালে। এরপর তিনি কর্মজীবনে ফিরে যান। লিভার ট্রান্সপ্ল্যােন্টর পর তিনি সন্তানেরও বাবা হয়েছেন। সেই রিয়াজুল ইসলাম এখন বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন।
লিভার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশে সফল লিভার ট্রান্সপ্লান্ট পরবর্তী সুস্থ জীবন নিয়ে বেচেঁ থাকা এবং সচেতনতামূলক কাজে অংশগ্রহণের একটি দৃষ্টান্ত এই রিয়াজুল ইসলাম। তার বর্তমান অবস্থান ভবিষৎ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট গ্রহীতাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে নি:সন্দেহে।’